scorecardresearch
 

Black Hairy Tongue Syndrome: জিভে গজাতে শুরু করে চুল! এই রোগ থেকে সাবধান

Black Hairy Tongue Syndrome: এই গবেষণাটি জামা ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই জিভ পরীক্ষা করার পরে, ডাক্তাররা এই জার্নালে এটি সম্পর্কে সমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। কারণ জিভের উপরে একটি কালো স্তর রয়েছে, যেখানে চুল গজিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে এই ব্যক্তি Black Hairy Tongue Syndrome-এ ভুগছেন।

Advertisement
এই রোগ থেকে সাবধান। প্রতীকী ছবি এই রোগ থেকে সাবধান। প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • জিভে গজাতে শুরু করে চুল
  • এই রোগ থেকে সাবধান
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Black Hairy Tongue Syndrome: সম্প্রতি আমেরিকায় এক ব্যক্তি জানতে পারলেন যে তাঁর জিভে ভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। জিভে লোম গজাতে শুরু করেছে। মাঝখানে একটি হলুদ দাগও রয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যথা অনুভব করছেন না তিনি। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির পরিবার এবং ডাক্তাররা সবাই এই বিস্ময়কর পরিস্থিতি দেখে হতবাক। জিভের ওপরে কালো রঙের পুরু আস্তরণ দেখা যাচ্ছিল। হলুদ রঙের আস্তরণ ছিল জিভের মাঝখানে এবং পিছনের দিকে।

কী এই রোগ?

এই গবেষণাটি জামা ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই জিভ পরীক্ষা করার পরে, ডাক্তাররা এই জার্নালে এটি সম্পর্কে সমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। কারণ জিভের উপরে একটি কালো স্তর রয়েছে, যেখানে চুল গজিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে এই ব্যক্তি Black Hairy Tongue Syndrome-এ ভুগছেন।

এই নামটি খুব ছোট মনে হতে পারে, তবে এই রোগটি দেখতে এবং সহ্য করা খুব কঠিন।  ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক হেয়ারি টং সিনড্রোম হওয়ার তিন মাস আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তিনি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েন। তার থেকে তিনি পরিষ্কার খাবার ও তরল খাবারে খাচ্ছিলেন। 

কীভাবে হয় চিকিৎসা?

ব্ল্যাক হেয়ারি টং সিনড্রোম একটি বিরল রোগ। সবাই হয় না। যখন ত্বকের মৃত কোষ জিভের উপরের অংশে উঠে বাইরে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন জিভ পুরু হতে শুরু করে। মৃত ত্বকের কোষ সারা জিভে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। একে জিভের স্বাদবাড বলে। যার কারণে জিভে ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট জমতে শুরু করে, যা চুলের মতো দেখাতে শুরু করে। ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক হেয়ারি টং সিনড্রোমে দেখা হলুদ রঙ খাবার এবং পানীয়ের রং হতে পারে। কারণ প্রায়ই খাবারে হলুদ ব্যবহার করা হয়। এই রোগটি অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফলে হয়ে থাকে। অথবা মুখে ময়লা জমে, শুষ্ক মুখ, ধূমপান বা নরম খাবার খাওয়ার কারণেও হতে পারে। এই রোগের থেকে রক্ষার জন্য প্রথমে মুখ ঠিকভাবে পরিষ্কার করা। খাওয়া-দাওয়ার পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি কিছু চিকিৎসাও দেওয়া হয়। ২০ দিন পর এই ব্যক্তির জিভ আবার সাধারণ মানুষের জিভের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

Advertisement

Advertisement