Blood Group : পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যতটা জরুরী, শরীর অনুযায়ী আপনার খাবারের ভারসাম্য রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই জিনিসগুলি ছাড়াও খাদ্যাভাসে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা জরুরি। প্রতিটি রক্তের গ্রুপের নিজস্ব স্বতন্ত্র প্রকৃতি রয়েছে, তাই আমাদের খাদ্যও আমাদের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত। রক্তের গ্রুপ চার প্রকার: A, B, AB এবং O।
কোন ব্লাড গ্রুপে কী কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত-
O প্রোটিন রক্তের গ্রুপের জন্য সবচেয়ে ভালো। O ব্লাড গ্রুপের মানুষদের উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। আপনার খাদ্যতালিকায় ডাল, মাংস, মাছ, ফল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনার ডায়েটে শস্য এবং মটরশুটি পরিমাণে ভারসাম্য রাখুন।
আপনার যদি A রক্তের গ্রুপ থাকে, তবে নিরামিষ খাবার বেশি খান। A ব্লাড গ্রুপের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই সংবেদনশীল, তাই তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খুব যত্ন নেওয়া উচিত। এই দলের লোকদের মাংস কম খাওয়া উচিত কারণ এটি হজম হতে সময় লাগে। আপনি যদি A ব্লাড গ্রুপের হয়ে থাকেন তাহলে চিকেন-মাটন খাওয়া কমিয়ে দিন। গাজর, সবুজ শাক, নাশপাতি, রসুন, শস্য, মটরশুটি এবং ফল খাওয়া এই ব্লাড গ্রুপের মানুষের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। দুধ ও এর দ্রব্য, সাদা ভাত ও ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এর পরিবর্তে আপনি দই বা সয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
যাদের B রক্তের গ্রুপ আছে তারা ভাগ্যবান বলা যায়। যদি আপনার রক্তের গ্রুপ B হয়, তবে এটি আপনার জন্য সুখবর হতে পারে। আসলে এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের খুব একটা এড়িয়ে চলতে হয় না। সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ, মাটন, চিকেন সবকিছুই খেতে পারেন। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষের হজম প্রক্রিয়া খুব ভালো থাকে, যার কারণে তাদের শরীরে চর্বি জমে না। এই লোকদের প্রচুর পরিমাণে দুধ এবং তা থেকে তৈরি জিনিস, ডিম ইত্যাদি খাওয়া উচিত। শুধু একটা কথা মাথায় রাখবেন তাদের খাদ্যাভ্যাস যেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি আপনার AB রক্তের গ্রুপ থাকে তাহলে সুষম খাবার খাবেন। এবি রক্তের গ্রুপ খুব কম মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। A এবং B যে জিনিসগুলি এড়াতে বলা হয়েছে, একই জিনিস খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া উচিত। যাদের এবি ব্লাড গ্রুপ আছে তাদের বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষের জন্যও ডিম উপকারী। একই সঙ্গে তাঁদের নন-ভেজ কম খাওয়া উচিত। তবে দুধ, মাখন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জিনিস তাঁদের ক্ষতি করে না। তবে সবথেকে ভালো হয়, এ বিষয়ে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।