দার্জিলিং-সিকিম পাহাড় বর্ষা থেকেই বিপর্যস্ত। এবার বিপর্যয় নেমে এল বক্সা পাহাড়ে। টানা ভারী বৃষ্টিতে শনিবার দুপুরে বক্সা পাহাড়ের দু’জায়গায় ধস নামে। অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকে মাকড়াপাড়া চা বাগানে রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চা বাগানটিও। ফলে এলাকায় পর্যটনে ভাটা পড়তে পারে বলে মনে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, বৃষ্টি কমে রোদ উঠলেই দুদিনে পরিস্থিতি বদলে যাবে।
শনিবার দুপুরে বক্সা ফোর্টে যাওয়ার পথে দুই জায়গায় ধস নেমেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে ভিউ পয়েন্ট এবং সদর বাজার থেকে দারাগাঁও যাওয়ার রাস্তায় এদিন ধস নামে। দারাগাঁওয়ের কাছে একটি গাছও ভেঙে পড়েছে। কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। ধসের জন্য তাঁরা নেমে গিয়েছেন। রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনম ডুকপা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লাগাতার বৃষ্টির জন্যই ওই ধস নামে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলদাপাড়া হয়ে বয়ে যাওয়া শালকুমারহাটের শিসামারা নদীর জল শনিবার হঠাৎ বেড়ে যায়। নদীর ঘোলা জল এদিন নালার মাধ্যমে নতুনপাড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। অনেকের বাড়ির উঠোন ও রাস্তায় নদীর জল দাঁড়িয়ে যায়। যদিও আলিপুরদুয়ার-১ এর বিডিও জয়ন্ত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘শিসামারা নদীর জল কিছুটা বেড়েছে। জরুরিভিত্তিতে বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য স্থানীয় স্কুলকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।’ এদিন নদীর পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ফের ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি তোলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
এদিন ভুটান পাহাড় থেকে বিভিন্ন নদী ও ঝোরার মাধ্যমে বৃষ্টির জল নেমে এসে রাস্তার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। আটকে পড়ে যানবাহন। কালচিনির বাসরা, কালিঝোরা, পানা নদীতে ফের জল বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন করে বাসরা ও কালিঝোরা নদীর পাড়ভাঙন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে কালচিনির সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানে ফের নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। পানা নদীতে জল বাড়ায় ওই এলাকায় যেতেও সমস্যা হচ্ছে। বাগানের তরফে জানানো হয়েছে, বাসরা নদীর জল বাগানের বাসরা ডিভিশনের ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সেকশনে ঢুকে পড়েছে। ওই ডিভিশনের ২ হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। কালীঝোরা নদীর ভাঙনে বাগানের হাতিমারা ডিভাশনের ১, ২ ও ৩ নম্বর সেকশনে জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ওই ডিভিশনের প্রায় ১ হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে।