রোগের সঙ্গে লড়াই ও আঘাত নিরাময়ের জন্য Inflammation এর ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী Inflammation শরীরের জন্য মারাত্নক প্রমাণিত হতে পারে। এতে DNA ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকিও। আবার ডায়াবেটিস ও হার্ট অ্য়াটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। চিকিৎসকদের মতে, Inflammation কতটা বাড়ে বা কমে তা নির্ভর করে আমরা যে খাবার খায়, তার উপর। এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে কী কী খাবার খাওয়া উচিত নয়। আসুন জেনে নিই।
সুগার ফুড
সুগার বা রিফাইনারি ফুড দুটি উপায়ে Inflammation বাড়িয়ে তোলে। চিনি লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। আমাদের শরীর যখন এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি হজম করে তখন তা থেকে তৈরি হওয়া যৌগগুলি Inflammation সৃষ্টি করে।
দ্বিতীয়ত, মিষ্টি খেলে আমাদের শরীর বেশি ইনসুলিন হরমোন তৈরি করে। ফলে চর্বি বেড়ে যায়। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন মেডিক্যাল সেন্টারের ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান ডিনি জাভেলি একই মত প্রকাশ করে এর ক্ষতিকারক দিকগুলি খাবার সম্পর্কে সচেতন করেছেন।
রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংস হল সেই মাংস যা লবণ, ধূমপান এবং অনেক ধরনের রাসায়নিক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংস উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। এতে শুধু ওজনই বাড়বে না, Inflammation-এর সমস্যাও হবে।
রান্নার তেল
কিছু রান্নার তেলে ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড নামে একটি উপাদান থাকে। ওমেগা-৬ ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি শক্তি তৈরি করে ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির কাজে লাগে। কিন্তু শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। স্যামন মাছ এবং ফ্ল্যাক্সসিড এর ভালো উৎস। অত্যধিক ওমেগা -৬ খেলে Inflammation সমস্যাও বাড়তে পারে। এটি এড়াতে চাইলে ভুট্টা, ক্যানোলা, সূর্যমুখী, কুসুম এবং চিনাবাদাম তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে।
ভাজা খাবার
যেমন চিকেন নাগেট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি Inflammation বাড়িয়ে তোলে। ভাজা খাবারে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। এগুলিতে ট্রান্স ফ্যাটও থাকতে পারে।