ভারতের বড় বড় পণ্ডিতদের মধ্যে আচার্য চাণক্যের নাম অন্তর্ভুক্ত। আজও মানুষ আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসরণ করে। যে ব্যক্তি আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসরণ করে সে জীবনে কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসরণ করেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য রাজা হতে পারতেন। আচার্য চাণক্যও বিয়ে সংক্রান্ত কিছু কথা বলেছেন। যারা এই বিষয়গুলি মেনে চলে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হয়।
ধৈর্যশীল ব্যক্তি জীবনে কখনই ব্যর্থ হতে পারে না। আচার্য চাণক্যের মতে, ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে বিয়ে করলে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। জীবনে ধৈর্য থাকাটা খুবই জরুরী। ধৈর্য্য নেই এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করা উচিত নয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, সন্তুষ্ট ব্যক্তিকে বিয়ে করলে সৌভাগ্য হয়। এই ধরনের ব্যক্তি প্রতিটি পরিস্থিতিতে তার সঙ্গীকে সমর্থন করে। সন্তুষ্ট নয় এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করা উচিত নয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, একজন ব্যক্তির সবসময় মিষ্টি কথা বলা উচিত। মিষ্টি কথা বলে এমন একজনকে বিয়ে করলে আপনার ভাগ্য বদলে যায়। এমন ব্যক্তির কারণে বাড়ির পরিবেশ সর্বদা আনন্দময় থাকে। যে ব্যক্তি খারাপ কথা বলে তাকে বিয়ে করা উচিত নয়।
রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। আচার্য চাণক্যের মতে, যে ব্যক্তি রাগ করে না তাকে বিয়ে করলে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। ভগবান এমন গৃহে বাস করেন যেখানে রাগান্বিত মানুষ থাকে না। যেখানে ভগবান থাকেন, সেখানে কোন প্রকার সমস্যা হতে পারে না। রাগান্বিত ব্যক্তিকে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
আচার্য চাণক্যের মতে, ধর্মীয় চিন্তার অধিকারী ব্যক্তিকে বিয়ে করলে সৌভাগ্য হয়। যে ঘরে নিয়মিত পুজো হয় সেখানে ভগবানের বাস। এ ধরনের বাড়িতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। ধার্মিক নয় এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করা উচিত নয়।