কোনও ব্যক্তি যদি স্বর্গে স্থান পেতে চান তাহলে তাঁকে সবসময় মিষ্টি ও সত্য কথা বলতে হবে। যাঁর কথায় রূঢ়তা নেই, তিনিই সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন। আচার্য চাণক্যের মতে, যে ব্যক্তি মিষ্টি করে কথা বলে সে সবাইকে তাঁর বন্ধু করে তোলে। তাঁর কোনও শত্রু নেই। দুনিয়ায় কোনও ভয় ছাড়াই স্বর্গের সুখ ভোগ করেন তিনি। কোনও ব্যক্তি প্রেম এবং মিষ্টি কথার মাধ্যমে শত্রুকেও নিজের বন্ধুতে পরিণত করে।
নাস্তি সত্যপরম তপঃ- এই শ্লোকে আচার্য চাণক্য বলেছেন, সত্যের চেয়ে বড় কোনও তপস্যা নেই। তাঁর মতে, সত্যকে মেনে চলাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তপস্যা। সত্য ধর্মকে অনুসরণ করা কোনও ব্যক্তির জন্য নানা সমস্যা নিয়ে আসতে পারে।
সত্যম স্বর্গস্য সাধনম- আচার্য চাণক্যের মতে, মানুষ সত্যের পথেই থাকলেই জীবন স্বর্গে হয়ে ওঠে। মানুষের অন্তরে যে সত্য রয়েছে, তাঁর লক্ষ্য নিজের স্বার্থপরতাকে দমন করা। স্বার্থপর মানুষ কখনও উন্নতি করে না। সত্যের পথে থাকলে মানুষ কখনও খারাপ কাজে যুক্ত হয় না। মানুষ নিজের ভয়কে জয় করে সত্যের পথে এগিয়ে চলে। স্বর্গের ঈশ্বরের মতো তাঁকে পুজো করে। অন্যদের সম্মান পান সেই ব্যক্তি। সকল মানুষের মনে রাখা উচিত, সত্যই যে কোনও ব্যক্তির শেষ সম্বল হওয়া উচিত। তাই সত্য কখনও ত্যাগ করা উচিত নয়।
সত্যেন ধারয়তে লোকঃ- আচার্য চাণক্য বলেছেন, যে পৃথিবী কেবল সত্যের উপর নির্ভরশীল। সত্যের কারণেই মানব সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সত্যের মাধ্যমেই জনকল্যাণ ও আত্মকল্যাণ ঘটতে পারে। ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সত্য বিবর্জিত সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়, যা তাঁকে ধ্বংসের দিকেও নিয়ে যায়।