দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। ছোটখাটো বিষয়ে মন না দিলে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে। আচার্য চাণক্যের মতে, কিছু জিনিস বিবাহিত জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে। প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীর এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। আসুন জেনে নিই, দাম্পত্য জীবনকে শক্তিশালী করতে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত-
সমাজ ও জীবনের নানা রীতিনীতি নিয়ে লিখে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। চাণক্য সম্পর্ক নিয়েও লিখেছেন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জটিল। সেই জটিল সম্পর্কের রসায়ন যাতে টেকসই হয় তা উপায় বাতলে দিয়েছেন চাণক্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক, দাম্পত্যে সুখী থাকতে কী কী এড়িয়ে চলা উচিত-
রাগ করবেন না- আচার্য চাণক্যের মতে, রাগ যে কোনও সম্পর্ককে নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে। রাগ মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। কখনও রাগ করা উচিত নয়। রাগের মাথায় মানুষ অনেক কথা বলে দেন। সেই কথা আর ফেরানোর কোনও অবকাশ থাকে না। পরে অনুশোচনা হতে থাকে।
গোপনীয়তা রাখুন- আচার্য চাণক্যের মতে,বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে স্বামী-স্ত্রী তাঁদের কথা নিজেদের মধ্যে রাখেন, তাঁরা সবসময় সুখী থাকেন। গোপনীয়তা ছাড়া সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। নিজেদের মধ্যে বলা কথা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এটাই সম্পর্কের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখার চাবিকাঠি।
শিষ্টাচার এবং সাজগোজের যত্ন নিন- আচার্য চাণক্যের মতে, স্বামী-স্ত্রীর কখনও তাঁদের সংস্কৃতি এবং মর্যাদা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যে স্বামী-স্ত্রী মর্যাদা ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি খেয়াল রাখেন না তাঁদের জীবনে সমস্যায় পড়তে হয়। সবসময় পারিবারিক ঐতিহ্যর সম্মান করুন। স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরকে সম্মান করলেই প্রেম টিকবে আজীবন।
ধৈর্য থাকা জরুরি- জীবনে ধৈর্য থাকাটা খুবই জরুরি। আচার্য চাণক্যের মতে, যে সব স্বামী-স্ত্রী কঠিন সময়ে ধৈর্য দেখিয়ে এগিয়ে যান, তাঁদের প্রেম আজীবন টেকে। ধৈর্য হারালে সম্পর্ক ভাঙার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই নিজেদের মধ্যে ধৈর্য রাখুন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিথ্যার কোনও স্থান নেই- আচার্য চাণক্যের মতে,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিথ্যার কোনও স্থান নেই। মিথ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মিথ্যার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত নয়। তাই নিজেদের প্রতি সৎ থাকাই কাম্য। সততা রেখে এগিয়ে যান।