ভারতে বিয়ে হল সাত জন্মের বন্ধন। সাত পাকে নারী-পুরুষ পরস্পরকে প্রতিশ্রুতি দেন, পরস্পরের সঙ্গে সারাজীবন কাটাবেন। কখনও তাঁরা পরস্পরকে ঠকাবেন না। বস্তুত, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দরকার স্বচ্ছতা। কখনও মিথ্যা যেন গ্রাস না করে। বিশ্বাসও এই সম্পর্কের আরও একটি স্তম্ভ। তবে সব সম্পর্কে যেমন ব্যতিক্রম থাকে তেমনই বিয়েতেও রয়েছে। সব বিষয় স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করতে নেই। এ ব্যাপারে চাণক্য কয়েকশো বছর আগেই পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন।
আচার্য চাণক্য সর্বকালের সেরা দার্শনিক এবং কূটনীতিক। নিজের নীতিতে তিনি বলেছেন, দাম্পত্য জীবনকে সুখী এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে স্বামী-স্ত্রীকে কিছু জিনিস গোপন রাখতে হয়। চাণক্য নীতিতে এমন ৩টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, যা স্ত্রীরা কখনও স্বামীকে বলবেন না। শত বিশ্বাসী স্বামী হলেও তিনটি কথা কখনও বলতে নেই।
পরিবারের সব কথা ফাঁস নয়- একজন মহিলা সঙ্গীকে বিশ্বাস করে অনেক কথাই বলতে শুরু করেন। সেই সময় নিজের বাড়ির লোকের গোপন কথা বলার ক্ষেত্রেও ভাবেন না। যদিও তা একেবারেই করা উচিত নয়। নিজের পরিবারের দুর্বলতা কখনও ফাঁস করবেন না। সবসময় তা গোপন রাখবেন। বাপের বাড়ি কথা জানার পর হতে পারে স্বামী আপনাকে নিয়ে বিরূপ ভাবতে পারেন। এমনকি আপনার পরিবারকে সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারেন স্বামী। ঝগড়ার সময় সেই কথা টেনে খোঁচাও দিতে পারেন। তাই বাপের বাড়ির গোপন কথা কখনও ফাঁস করবেন না। তা গোপনই রাখুন।
সঞ্চিত অর্থ- স্ত্রীকে অবশ্যই তাঁর উপার্জিত বা স্বামীর উপার্জিত অর্থের একটি ছোট অংশ সঞ্চয় হিসাবে রাখতে হবে। যাতে পরিবারকে সংকটের সময়ে সাহায্য করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে স্বামী যেন এই সঞ্চয় সম্পর্কে না জানেন। কারণ স্বামী বিষয়টি জানতে পারলে এই টাকা তিনি ছোটখাটো সমস্যায় চাইতে পারেন। তাই নিজের সঞ্চয় ও আয় কখনও স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
কাউকে সাহায্য- বেদে লেখা আছে, এক হাতে দান-খয়রাতের খবর অন্য হাতের জানা উচিত নয়, তবেই তা দান। সে কারণেই আচার্য চাণক্য মহিলাদের সাবধান করে দেন। ভুল করেও তাঁদের দান বা অন্য কোনও সহযোগিতা সম্পর্কে যে স্বামীকে না জানান। এতে খরচ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। আপনি কাউকে সহযোগিতা করলে সেটা গোপন রাখেন। হতে পারে যাঁকে সহযোগিতা করছেন তিনি আপনার নিকটজন। এতে স্বামীর নজরে সেই ব্যক্তির মান থাকে না।