আচার্য চাণক্য। ভারতের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান মানুষদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল ছিল তাক লাগানোর মতো। সেই চাণক্য জীবনের বিভিন্ন বিষয় এমনকি নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে লিখে গিয়েছেন। যা আজও সমাদৃত। আচার্য চাণক্যর বুদ্ধিতে কিশোর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের রাজ সিংহাসনে বসেছিলেন। তাঁর নীতিশাস্ত্রে ব্যক্তিগত জীবন, চাকরি, ব্যবসা, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, শত্রুতা ইত্যাদি জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে লেখা রয়েছে। চাণক্য নীতি বলেছে, মানুষের জীবন অমূল্য। এই জীবনকে যদি সফল ও অর্থবহ করতে হয়, তবে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আদর্শ জীবনসঙ্গিনী নিয়েও বলে গিয়েছেন চাণক্য। তাঁর মতে, মহিলাদের এমন চারগুণ রয়েছে যা থাকলে তাঁরা হন লক্ষ্মীমন্ত। সেই পুরুষের জীবন হয় সুখের। সংসার দারুণ কাটে।
লক্ষ্মীর রূপ শান্ত প্রকৃতির নারী- চাণক্য নীতি অনুসারে,শান্ত মহিলাকে লক্ষ্মীর রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ধীর-স্থির প্রকৃতির নারী পুরুষের জীবনে স্ত্রী হিসেবে আসলে বাড়ে ঘরের শোভা। পরিবারে ঐক্য ও শান্তি বজায় থাকে। সেই পরিবারের উন্নতি হতে বেশি সময় না লাগে। ঘরে আসে সমৃদ্ধি।
শিক্ষিত এবং সংস্কৃতিমনা নারী- আচার্য চাণক্যের মতে, একজন শিক্ষিত, সদাচারী ও সংস্কৃতিমনা নারী যদি স্ত্রী হিসেবে জীবনে আসেন, তাহলে তিনি যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবারের সাহায্যকারী হয়ে ওঠেন। এই ধরনের মহিলারা কেবল আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ নয়, নির্ভয়ে বড় সিদ্ধান্তও নেন। এই ধরনের মহিলাদের পাশে পেলে যে কোনও পুরুষ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
মধুর বচন- আচার্য চাণক্যের মতে, যে পুরুষ মিষ্টি এবং নরমভাষী মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি সর্বদা সুখী জীবনযাপন করেন। এমন নারীরা সমাজে সম্মান পান। পিতামাতা এবং শ্বশুরবাড়ির প্রতিপত্তিও বৃদ্ধি করেন।
সীমিত ইচ্ছার নারী- আচার্য চাণক্যের মতে, যে মহিলারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের ইচ্ছাকে বদলাতে জানেন, তাঁরাই সেরা স্ত্রী হন। এই ধরনের নারীরা তাঁদের স্বামী ও পরিবারকে ভালো কাজ করতে এবং সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁদের সীমিত আকাঙ্ক্ষার কারণে পরিবার কখনও আর্থিক সংকটে পড়ে না। তাঁদের আকাঙ্ক্ষা কম থাকায় সংসার সুখের হয়। পুরুষের উপর চাপ পড়ে না।