শিশুদের ভালো শিক্ষা দিয়ে মানুষ করে তোলা মোটেও সহজ কাজ নয়। ছোটবেলায় মা-বাবা তাঁর সন্তানকে কোন সংস্কার, আচার-আচরণ অনুসারে বড় করছেন, তার ওপরই নির্ভর করে শিশু ভবিষ্যতে কেমন তৈরি হবে। সন্তানের সামনে আপনি যেরকম ব্যবহার করবেন, তারা সেরকমই শিখবে। তাই ছোট শিশুদের সামনে মা-বাবা চেষ্টা করেন তাঁদের ব্যবহার সিক রাখার। যদিও অনেক সময়ই তাঁরা এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার কারণে সন্তানকে তা ক্ষতিপূরণ ভবিষ্যতে দিতে হয়। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে এমনই ৩ ভুলের কথা বলে গিয়েছে, যা সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিতে পারে।
খারাপ কথার প্রয়োগ নয়
সন্তানের সামনেই মা-বাবারা অনেক সময় অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে কড়া ভাষা প্রয়োগ করে বসেন। এরকম কখনই করা উচিত নয়। সবসময় মধুরভাষী হওয়া দরকার। নয়তো এর প্রভাব সন্তানের ওপর পড়তে পারে। কখনই সন্তানের সামনে অভদ্র ভাষা প্রয়োগ করতে নেই। সন্তানও সেই ভাষা শিখে আপনাকে পরে অপ্রস্তুতে ফেলতে পারে। তাই সন্তানের সমানে শালীন ভাষা ব্যবহার করুন।
মিথ্যে বলবেন না
মিথ্যে বলা এমনিতেই সঠিক কাজ একেবারে নয়। বিশেষ করে অভিভাবক যদি সন্তানের সামনেই মিথ্যে বলে তাহলে তার ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেকেই সন্তানের সামনেই অন্যদের মিথ্যে বলে থাকেন, এটা একেবারেই অনুচিত। আপনাকে মিথ্যে বলতে দেখে আপনার সন্তানও সেই স্বভাবটি রপ্ত করে নিচ্ছে আর সেও মিথ্যে বলতে শুরু করে দেবে। যা পরবর্তীকালে আপনার দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে।
কাউকে অসম্মান করবেন না
শুধু সন্তানের সামনেই নয়, মা-বাবার উচিত একে-অপরের প্রতি সম্মান বজায় রাখা। সন্তান যখন মা-বাবাকে দেখবে একে-অপরের সম্মান করতে তখন সে আপনাদের ও বাইরের মানুষদেরও সম্মান করতে শিখবে। আপনি খারাপ কথা বললে সেও একই জিনিস শিখবে আপনার থেকে। তাই কাউকে অসম্মান করলে সেই শিক্ষা সন্তানও পাবে এবং পরবর্তীতে সেও কাউকে সম্মান দেবে না।