বর্ষায় সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। বৃষ্টিতে ঠান্ডা লেগে বুকে জমে কফ। এই ঋতুতে বুকে কফ জমার সমস্যা নতুন নয়। বুকে কফ জমলে কোনওকিছুতেই মন লাগে না। বৃষ্টিতে ভেজা ছাড়াও ঠান্ডা নরম পানীয়, ঠান্ডা জল, দই, বাটার মিল্ক এবং আইসক্রিম খেলেও সর্দি-কাশি এবং বুকের কফ জমার মতো সমস্যা হয়। তখন কষ্ট হয় শ্বাস নিতেও। অনেকে ওষুধ খেয়ে সারাতে চান। তবে বুকের শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি পেতে আয়ুর্বেদিক প্রতিকার গ্রহণ করলে চিরতরে মুক্তি মেলে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে, রাতে ঘুমোনোর আগে আদা খেলে বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা খুব সহজেই নিরাময় করা যায়।
আদা- ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ আদা বহু শতাব্দী ধরে নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা আর্থ্রাইটিস,প্রদাহ এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। আদায় থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণের কারণে রোগ প্রতিরোধ করে। কাশি ভালো করে, জ্বর কমায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে আদা। মাথা ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ফুটন্ত দুধে আদা দিয়ে খান, কফ দূর হবে।
গোলমরিচ এবং মধু- বুকে কফ জমার সমস্যা হলে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। অল্প সময়ের মধ্যে কফের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। রাতে এটি খেলে অনেক উপশম হয়। গোলমরিচ ও মধুতে উপস্থিত উপাদান শরীরকে উষ্ণ রাখে। উভয়ের মিশ্রণ ঠান্ডার পাশাপাশি গলা ব্যথা এবং সর্দির সমস্যা থেকেও রক্ষা করবে।
তুলসী এবং আদা- তুলসী ও আদা অনেক রোগের একমাত্র ওষুধ। বুকে জমে থাকা কফের চিকিৎসার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল চায়ে তুলসী ও আদা মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পান করুন। চিনি ও দুধ ছাড়া চা তৈরি করলে উপকার। তুলসী প্রদাহরোধী, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এর মাধ্যমে আপনি আরও অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
পুদিনার তেল- বুকে কফ থেকে উপশম পেতে ২ ফোঁটা পুদিনার তেল গরম জলে রেখে বাষ্প নিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই টোটকা করুন। রাতে এই কাজ করলে ভালো ঘুম হবে। পুদিনা কফ বাইরে বের করে দেয়।