বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ ও মহিলাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা ভয়ঙ্কর রোগ সৃষ্টি করতে পারে। খাবারে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বেড়ে যায় কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। হাই-কোলেস্টেরল শরীরে বহু রোগের কারণ। এর আধিক্যের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো প্রাণঘাতী রোগের শিকার হতে পারেন।
বিটের রস
বিট হল গাছের মূল। যা স্যালাড হিসেবে খান অনেকে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতেও ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন বিটের রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রস খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না। এতে বিবিধ গুণাগুণ পাওয়া যায়। যেমন- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, ফসফরাস, ভিটামিন বি ইত্যাদি।
করলার রস
করলা অনেকেরই অপছন্দের সবজি। করলায় রয়েছে বিবিধ পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই রয়েছে। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্যও অনেকে খান করলার রস। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেও অব্যর্থ করলার রস। প্রতিদিন এক গ্লাস এর জুস খান।
লাউয়ের রস
লাউঘণ্ট খাননি এমন বাঙালি নেই। লাউয়ের মধ্যে জল থাকে প্রায় ৯৮%। হজম সংক্রান্ত সমস্যা সারাতে লাউ খুবই সহায়ক। লাউয়ের রস খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। শরীরে কোলেস্টেরলও কমায়। তাই তরকারি তো বটেই লাউ কোলেস্টেরল কমাতেও কার্যকর।
অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরার রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খেতে একটু তেতো মনে হলেও অ্যালোভেরার জুস অনেক রোগ সারাতে সক্ষম। ফেস জেল, ফেস ওয়াশ, অ্যালোভেরা প্যাকেজ জুস তৈরি করতে ব্যবহার করে অ্যালোভেরা ব্যবহার করছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি। এর ব্যবহারে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যালোভেরা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও কার্যকর।
আরও পড়ুন- ওজন বাড়িয়ে মেদহীন পেটাই শরীর চান? এই ৪ উপায়ে খান চিকেন