scorecardresearch
 

সারাক্ষণ কম্পিউটারে কাজ! চোখ বাঁচাবে কিছু টিপস

বাড়িতে বসেই একটানা কাজ করতে হচ্ছে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে। সর্বক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলস্বরূপ চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, চোখ কড়কড় করা, ঘাড়-মাথা-পিঠ ব্যথা করা।

Advertisement
কয়েকটা নিয়ম মেনে চললেই ভিশন সিনড্রোম-এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কয়েকটা নিয়ম মেনে চললেই ভিশন সিনড্রোম-এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে
হাইলাইটস
  • চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে চোখের সমস্যার কারণ কম্পিউটারের
  • প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭০ জন ভিশন সিনড্রোমের শিকার
  • কিছু নিয়ম মেনে চললেই মিলবে সমাধান

করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী প্রায় থমকে গিয়েছে। সবাই এখন গৃহবন্দী। তাই বলে তো কাজ থেমে থাকতে পারে না। বাড়িতে বসেই একটানা কাজ করতে হচ্ছে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে। সর্বক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলস্বরূপ চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, চোখ কড়কড় করা, ঘাড়-মাথা-পিঠ ব্যথা করা। তবে নাকি কয়েকটা নিয়ম মেনে চললেই ভিশন সিনড্রোম-এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে চোখের সমস্যার গোড়ায় রয়েছে কম্পিউটারের বহুল ব্যবহার। একনজরে একদিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকার কারণে দৃষ্টিশক্তির উপরে চাপ তৈরি হচ্ছে। ফলে রক্ত চলাচল কম হয়। এই কারণে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭০ জন ভিশন সিনড্রোমের শিকার। এমন সময় চোখে সামান্য আলো পড়লেই বিরক্ত লাগে। 

কিন্তু তাই বলে তো কাজ থামানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই বেশ খানিকটা হলেও এড়ানো যাবে এই সমস্যা- 

১. কম্পিউটার স্ক্রিন অর্থাত্ মনিটর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে কাজ করতে হবে। মনিটরের উচ্চতা ও চোখের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলে ঘাড়ে ব্যথার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। মনিটরের আলো থেকে চোখ বাঁচাতেই দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। 

২. কম্পিউটার স্ক্রিনের কনট্রাস্ট ও ব্রাইটনেস ঠিক করে রাখলেই সমস্যা থেকে কিছুটা শান্তি পাওয়া যায়। বেশি ঝলমলে রঙ থেকে চোখকে বাঁচায় কনট্রাস্ট। ব্রাইটনেস কম করলে চোখের পক্ষে তা আরামদায়ক। 

৩. অফিসের কাজ তো কমানো সম্ভব নয়, তাই মাঝে মাঝে চোখকে আরাম দেওয়া প্রয়োজন। প্রতি আধ ঘন্টায় পাঁচ থেকে দশ মিনিট বিরতি নিতে হবে। 

৪. কম্পিউটারে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট চশমা পাওয়া যায়, সেটা পরে কাজ করাই শ্রেয়। এমনকী টেবিলে কনুই রেখে হাতের তালুতে দু-তিনবার চাপ দিন। 

Advertisement

৫. কিছুক্ষণ অন্তর চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া বিশেষ দরকার। চোখ বন্ধ করে খানিকটা সময় শুয়ে থাকা বা চোখের উপরে ভেজা তুলো বা গোলাপ জল দিলে আরাম বোধ করবেন। 

৬. ঘরের মধ্যে পরিমাণ মতো আলো জ্বালিয়ে কাজ করাটা দরকার। বারবার চোখের পাতা ফেলতে হবে (অন্তত ২০ বার)  আর এসবেও সমস্যা না মিটলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

Advertisement