scorecardresearch
 

Dandruff Remedies: শীত শুরুর আগে জানুন, খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

Dandruff Home Remedies: অত্যধিক তেল উৎপাদনের ফলে খুশকি দেখা দেয়। যদিও এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ঘটতে পারে। ত্বক শুষ্ক, শক্ত হয়ে যাওয়া, চুলকানি এবং কিছু চরম ক্ষেত্রে লাল এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

ঋতু, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে খুশকি (Dandruff) একটি গুরুতর সমস্যা যা, যে কোনও ব্যক্তির ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আয়ুর্বেদে খুশকি সহ ত্বকের প্রতিটি সমস্যার জন্য একটি চিকিৎসা রয়েছে। অত্যধিক তেল উৎপাদনের ফলে খুশকি দেখা দেয়। যদিও এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ঘটতে পারে। ত্বক শুষ্ক, শক্ত হয়ে যাওয়া, চুলকানি এবং কিছু চরম ক্ষেত্রে লাল এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।

কেন হয় খুশকি? 

* শুষ্ক ত্বক: শীতকালে, বাতাসে আর্দ্রতার অভাবের কারণে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, যা খুশকির কারণ হতে পারে।

* কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: অ্যালার্জেন বা এধরনের অন্যান্য কারণে ত্বকের জ্বালার ফলে চুলকানি এবং বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি হয়। খুশকির ক্ষেত্রে, এটি মাথার ত্বকে হয়। সাধারণত হেয়ারকেয়ার পণ্যের রাসায়নিকের কারণে ঘটে।

* খারাপ শ্যাম্পু: অনিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া, খুশকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিংবা ভুল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলেও খুশকি হতে পারে। 

খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় 

* টি ট্রি ওয়েল এবং ভার্জিন নারকেল তেল:

একটি বাটিতে, ৫-১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েলের সঙ্গে ৫ টেবিল চামচ ভার্জিন নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই পুষ্টিকর মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

এবার হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নারকেল তেল কার্যকরভাবে ত্বককে হাইড্রেট এবং ময়েশ্চারাইজ করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি ছত্রাকের সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে এবং এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য একজিমার চিকিৎসায় সহায়তা করে।

* আপেল সিডার ভিনেগার:

২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে সম-পরিমাণ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগান এবং ৩-৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার হালকা হেয়ার ক্লিনজার বা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত প্রয়োগ মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement

* নিম পাতা:

প্রায় ১০- ১৫ নিম পাতা ফুটন্ত জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেই ভেজানোর পাতা পিষে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এর সঙ্গে ১-২ টেবিল চামচ দই মেশান। ৩০ মিনিটের জন্য এই হেয়ার প্যাকটি চুলে লাগিয়ে রাখুন এবং এরপরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত আপনার চুলে নিম পাতার এই প্যাক লাগালে, এবং মাথার ত্বকে খুশকি সৃষ্টিকারী জীবাণুমুক্ত হবে।

* বেকিং সোডা:

২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুঁড়ো সরাসরি ভেজা চুলে লাগান, বৃত্তাকার গতিতে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ২-৩ মিনিটে রেখে, হালকা হেয়ার ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডা গুঁড়ো, যখন হালকা এক্সফোলিয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তখন চুলকানি এবং প্রদাহ কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি মাথার ত্বকের অতিরিক্ত মৃত কোষগুলিকে সরিয়ে দেয়। এটি খুশকির জন্য দারুণ উপকারী।

* জৈব আমলা পাউডার এবং তুলসী পাতা:

জৈব আমলা পাউডার এবং সমপরিমাণ জল ও ৮- ১০ তুলসী পাতা মিশয়ে একটি পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ আপনার মাথার ত্বকে ভাল ভাবে প্রয়োগ করুন এবং ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা ক্লিনজার বা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আমলার উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান এবং তুলসীর অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকির চিকিৎসায় সাহায্য করে।

* মেথি বীজ এবং লেবুর রস:

২ টেবিল চামচ মেথি বীজ একটি পাত্রে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে, ভেজানো মেথি বীজ থেকে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণে এক টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন এবং আপনার মাথার ত্বক এবং চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পরে, আপনার পছন্দ মতো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে, চুল পড়া এবং খুশকি রোধ করতে সাহায্য করবে।

 

Advertisement