বাঙালির সঙ্গে মিষ্টির সম্পর্ক চিরন্তন। শেষপাতে মিষ্টি না হলে অনেকেরই ঠিক জমে না। তবে ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই এখন মিষ্টি থেকে দূরে থাকেন। আবার অনেকে মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য। তবে পুষ্টিবিদেরা মিষ্টির বিষয়ে একেবারে ‘না’ করে দেন না কখনওই। বরং শরীরে বাড়বাড়ি রকমের সমস্যা না থাকলে অনেক রোগীর পাতেই দিনে একটি মিষ্টি দেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে রাতের খাবারে নয়, বরং দিনের আলোয় মিষ্টি খেলে শরীরের পক্ষে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। শরীরের কথা ভেবে দোকানের রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ বাদ দিয়ে বাড়িতে বানানো কিছু মিষ্টি রাখতে পারেন পাতে। রইল এমন কয়েকটি মিষ্টির হদিস, যা ওজন ঝরানোর ডায়েটে থেকেও খেতে পারেন আপনি।
ছানা মাখা
ছানা কাটানোর পাউডার সহজেই দোকানে পাবেন। তা দিয়ে বা দুধে লেবু চিপে ছানা বানিয়ে নিন ঘরেই। এ বার এই ছানা মেখে নিয়ে তাতে দু-এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, আখরোট ইত্যাদি মিশিয়ে দিন এতে। এটি খেলে পেট ভরা থাকবে যেমন, তেমনই মিষ্টি খাওয়ার সাধও মিটবে। এই খাবারটি বেশ স্বাস্থ্যকর। যাঁরা ডায়েটে রয়েছেন, তাঁরাও সন্ধ্যের খাবার হিসেবে এটি বাছতে পারেন।
জাম পপস্টিকল
জামের বীজ ছাড়িয়ে শাঁসটুকু মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণ ছেঁকে নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য বিটনুন, চাটমশলা আর লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে কুলফির পাত্রে রেখে ফ্রিজারে জমিয়ে নিন। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে চেখে দেখতেই পারেন এই টক-মিষ্টি-ঝাল পপস্টিকল।
মিষ্টি মাখানা
কড়াইতে ঘ দিয়ে মাখানাগুলি ভাল করে ভেজে নিন। এ বার একটি পাত্রে গুড় গরম করে তাতে সামান্য নারকেল কোরা ও সাদা তেল মিশিয়ে মাখানাগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার একটি থালায় এক একটি করে মাখানা তুলে ঠান্ডা হতে দিন। ঘণ্টাখানেক পরেই খেতে পারবেন মিষ্টি মাখানা।