পুরুষ হোক বা মহিলা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কাবু করে দেয় উভয়কেই। এই সমস্যায় সকালে উঠেই মাটিতে পা ফেলতেই ব্যথা শুরু হয়ে যায়। দু’-একদিন পর হাত-পায়ের জয়েন্টেও একই অবস্থা। কিছুক্ষণ হাঁটাচলার পর ব্যথা কমছে ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি সারছে না। জয়েন্ট ফুললে সমস্যা আরও বাড়ছে। মাটিতে পা ফেলাটাই তখন বিভীষিকা। একজন সুস্থ, সবল মানুষ রাতারাতি শয্যাশায়ী। এতটাই মারাত্মক হতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।
এখন এই সমস্যা ঘরে ঘরে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, প্রোটিনের আধিক্য, মদ্যপানের অভ্যাস এখন কম বয়সীদের মধ্যেও ইউরিক অ্যাসিড দেখা যাচ্ছে। অনেকেই তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে প্রোটিন বেশি খান। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। দেখা গিয়েছে, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় কিছু খাবারে থাকে বারণ। এই বাতিলের তালিকায় কি টমেটোও রয়েছে? আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
টমেটো খাওয়া যায় কী?
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাঁদের অনেককেই চিকিৎসকেরা টমেটো খেতে বারণ করে থাকেন। কিছু ব্যক্তির টমেটো খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এমনকী গাউটের ব্যথাও বাড়ে। তবে সকলের শরীরে এই সমস্যা হয় না। বরং কিছুজনের তো টমেটো খেলে প্রদাহ কমে। এমনকী গাউটের ব্যথাও হ্রাস পায়। তাই টমেটো খেলেই যে ইউরিক অ্যাসিড বাড়বে, এই ধারণা ভুল। টমেটো ছাড়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কী খাবেন আর কী খাবেন না
তবে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই কিছু খাবার খাওয়ার ওপর থেকে রাশ টানতে হবে আপনাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার খাবেন না ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায়।
১) রেডমিট বা পাঁঠার মাংস
২) চিংড়ি মাছ
৩) কাঁকড়া
৪) মদ
৫) বিয়ার
৬) পালং, ফুলকপি, বাঁধাকপি অল্প খাবেন।
৭) ডাল বা ডাল থেকে তৈরি জিনিস, রাজমা, সয়াবীন খাদ্যতালিকা থেকে সরিয়ে রাখুন।
৮) ডিমের কুসুম খাবেন না, সাদা অংশ খেতে পারেন।
৯) ফলের রস খাবেন না। কারণ ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে পারলেই সুস্থ থাকবেন। আর ডায়েটে বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি ও ফল রাখুন। খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। তাতেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।