আয়ুর্বেদে এমন অনেক ভেষজ রয়েছে, যার মধ্যে অনেক গুলোই অলৌকিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। নিম পাতা এবং কারি পাতা এই ভেষজগুলির মধ্যে একটি, যা আমাদের জন্য বিভিন্ন উপকারে কাজে লাগে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি কারি পাতা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারি। সেই সঙ্গে নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্যও নানাভাবে উপকারী। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি এটি আমাদের চুলের জন্যও খুবই উপকারী।
সাধারণ মানুষের মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে নিম পাতা এবং কারি পাতার মধ্যে কোনটি ভাল। আপনিও যদি সেই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হন যারা প্রায়শই বিভ্রান্ত হন যে দুটির মধ্যে কোনটি চুলের জন্য বেশি উপকারী?
ক্ষতিগ্রস্ত চুল ভাল রাখা
নিম পাতা ক্ষতিগ্রস্থ চুল মেরামত করতে উপকারী, অন্যদিকে কারি পাতা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্ষতি থেকে চুলকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
চুল পড়া রোধ করে
নিম পাতা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে চুল পড়া রোধে দারুণ কাজ করে। অন্যদিকে কারি পাতা প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
খুশকি থেকে রক্ষা করে
নিম পাতায় অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকি থেকে মুক্তি পেতে এবং মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কারি পাতা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা কমায় এবং খুশকি প্রতিরোধ করে।
চুল বাড়ে
নিম পাতায় চুল বাড়ে। অন্যদিকে কারি পাতা চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো করে।
প্রাকৃতিক চুলের রঙ বজায় রাখে
কারি পাতা সাধারণত চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধেও এটি সহায়ক। একই সঙ্গে, নিম পাতা চুলকে স্বাস্থ্যকর করতে এবং এর রঙ বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা
কারি পাতা তাদের কন্ডিশনার বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা চুলের গঠন বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক চকচকে আনে। যেখানে নিম পাতা, তাদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সহ, পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকে অবদান রাখে।