লিভার হল মস্তিষ্কের পরে শরীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং জটিল অঙ্গ। লিভার হজম, রোগ প্রতিরোধ, বিপাক এবং শরীরের মধ্যে পুষ্টির জোগানে সাহায্য করে। এখন অনেকেই ভুগছেন ফ্যাটি লিভারের সমস্য়ায়। লিভারে ফ্য়াটের পরিমাণ বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ আগে থেকে দেখা যায় না। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে তা দেখে সতর্ক হওয়ার দরকার। যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।
লিভার পিত্তি উৎপাদন করে, যা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। রক্ত থেকে টক্সিন অপসারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বজায় রাখে লিভার। লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরের কোষগুলি শক্তি পায় না। পুষ্টির অভাবে মৃত্যু ঘটে। সঠিক যত্ন না নিলে লিভার সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মুখে ফোলাভাব-লিভারের যে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রোটিন তৈরির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এর রক্ত প্রবাহ এবং তরল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। মুখে দেখা দিতে পারে সামান্য ফোলাভাব।
ঘাড়ের কাছে কালো দাগ- ফ্যাটি লিভার ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা তৈরি করে। যা অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদনের দিকে নিয়ে যায়। এর ফলে অ্যাকন্থোসিস নাইগ্রিকানস নামে অসুখ হতে পারে। ঘাড়ে কাছ ভাঁজ দেখা দেয়। জায়গাটি কালো হয়ে যেতে পারে।
মুখের ত্বকে লাল দাগ- লিভারের সমস্যা হলে মুখ লাল দাগ দেখা দিতে পারে। একে বলে রোসেসিয়া। এই অসুখে লাল লাল দাগ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- খালি পেটে এই ৫ খাবার একদম নয়, হতে পারে হজমে গোলমাল, গ্যাস
মুখের চারপাশে ফুসকুড়ি- ফ্যাটি লিভারের কারণে নির্দিষ্ট পুষ্টির শোষণ করতে পারে না শরীর। যেমন- জিঙ্ক। জিঙ্কের অভাবে কারণে ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। মুখের চারপাশে ফুসকুড়ি হতে পারে।
চুলকানি- ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীরে চুলকানি হতে পারে। গোল গোল দাগ দাগ হয় ঘাড়ে, গলায়। প্রচণ্ড চুলকায়। ত্বকে জ্বালা করে।
জন্ডিস- লিভারের সমস্যা থাকলে জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিসের লক্ষণগুলি শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগে সাধারণত চোখ এবং মুখে দেখা দেয়। লিভার সঠিকভাবে কাজ না করলে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যেতে পারে। যার ফলে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়।