কেউ কাউকে কারণ ছাড়া পছন্দ করতে পারে না। একথা ধ্রুব সত্য। নারীরা পুরুষদের পছন্দ করার পেছনে যেমন কিছু কারণ থাকে তেমনই অপছন্দ করার পেছনেও নানান কারণ থাকে। তাই এই কারণ গুলো জেনে আগে থেকে সতর্ক হয়ে যাওয়াই নারীদের জন্য শ্রেয়। সেরকম কয়েকটি কারণ দেওয়া হল, যেগুলো নারীরা এক পুরুষের মধ্যে থাকা পছন্দ করেন না।
অতিরিক্ত নেশা করা
যারা অতিরিক্ত নেশা করেন কারণে অকারনে তাঁদের নারীরা বিশেষ পছন্দ করে না। বর্তমান জীবনের অনেক যুবকরা নেশা করাকে স্মার্টনেস কিংবা কুলনেস হিসেবে দেখেন। নেশা করা কিছু মহিলা পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মহিলারা কিন্তু নেশাকে ভালো চোখে দেখেন না। কারণ তাঁরা জানেন যে সমস্ত যুবকেরা নেশা করেন তাঁদের ভবিষ্যৎ অতুল সমুদ্রতে ডুবে। তাই তাঁরা এসমস্ত নেশাগ্রস্ত মানুষদের থেকে দূরে দূরে থাকেন।
এক নারীতে সন্তুষ্ট নন
একাধিক নারীসঙ্গও কোন নারীর পছন্দ নয়। কারণ কোন নারীই চাইবে না তার পছন্দের পুরুষের সে ছাড়াও একাধিক নারী সঙ্গী থাকুক। নারীরা কোন ভাবেই এরকম পুরুষদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না। কিন্তু প্রথমে যদি না জেনে বুঝে কখনও সম্পর্কে এসে যায় তাহলে তাঁরা চায় যাতে দ্রুত এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কারণ তাঁদের কাছে এটি এক প্রকার যন্ত্রণা।
মেয়েদের ছোট করে দেখা
আধুনিকতার একদম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে সভ্যতা। তবে এই যুগে দাঁড়িয়েও কিছু ব্যক্তি সেই পুরনো ধ্যান-ধারণাকে সঙ্গী করে বেঁচে আছেন। তাদের কাছে, নারীর কোনও গুরুত্বই নেই। বরং নারীর উত্তরণকে ছোট করার কাজেই তারা ব্যস্ত থাকেন। আপনিও কী এমন ভুল করেন? উত্তর হ্যাঁ হলে এখনই নিজেকে বদলে ফেলুন। নারীদের সবসময় সম্মান দিন। তাদের এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলেই নারীদের মনের মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।
বেশি গম্ভীর
কিছু পুরুষ অতিরিক্ত গম্ভীর স্বভাবের হয়ে থাকেন। তারা সবসময় মুখ গোমড়া করে বসে থাকেন। আর তাদের এমনতর আচরণ দেখে দূরে থাকতে শুরু করেন নারীরা। তাই গম্ভীর স্বভাব ছেড়ে এখন থেকে একটু হাসিখুশি থাকার, সবার সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমেই কোনও এক রাজকন্যার মনে হয়তো জায়গা করে নিতে পারবেন। ফুটবে বিয়ের ফুল।
অতিরিক্ত সন্দেহ
মেয়েদেরও সমানভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাই সম্পর্কে আসা মানেই সব সময় তাকে আপনি সন্দেহের চোখে দেখবেন এমনটা নয়। এরকম পুরুষ মেয়েরা খুবই অপছন্দ করে। পুরুষদের যেমন বন্ধু বান্ধব থাকে, মেয়েদেরও থাকে। কিন্তু অযথা সন্দেহ করা এইসব নিয়ে একেবারেই অনুচিত।