বেশিরভাগ বাড়িতেই রোজকার পাতে মাছ থাকে। বাঙালি বাড়িতে কালেভদ্রে ইলিশ-ভেটকির দেখা পাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি থাকে রুই-কাতলা। ভাজা, ঝাল, ঝোল, দইমাছ সবেতেই দারুণ জমে যায় এই মাছ। রুই মাছের স্বাদ নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে রুই মাছ যদি রোজ খাওয়া হয়, জানেন কী হতে পারে। শরীরের ওপর ঠিক কেমন প্রভাব পড়ে এই মাছের।
রক্ত বাঁধার সমস্যা কমে
করোনার পর থেকে অনেকের শরীরেই রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা কমাতে রুইমাছ দারুণ কার্যকর। এই মাছ নিয়মিত খেলে রক্তপ্রবাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করে। এর ফলে ইকোসোনোয়েড নামক হরমোনের মাত্রা কমে। এটি রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ। রুই মাছ নিয়মিত খেলে এই হরমোনের প্রভাব কমে, তাই রক্ত জমাটের আশঙ্কাও কমে।
ত্বকের নানা রকম সংক্রমণ দূর হয়
ত্বকের নানা রকম সংক্রমণ বা প্রদাহের সমস্যাও কমতে পারে নিয়মিত এই মাছ খেলে। এই মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে নানা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
চোখ ভাল রাখে
এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের আরও কিছু গুণ রয়েছে। এখন অনেককেই সারা দিন কম্পিউটারের সামনে কাটাতে হয়। তা ছাড়া স্মার্টফোন তো আছেই। এগুলির আলো চোখের উপর নানা ধরনের প্রভাব ফেলে। দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, চোখ শুকিয়ে যায়। চোখের এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে রোজ রুই মাছ খেলে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের বহু সমস্যাকে প্রতিহত করে।
হাড়ের সমস্যা কিছুটা দূর করে
যাঁরা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, তাঁরা রোজ এই মাছ খেলে সমস্যা কমতে পারে। এর কিছু উপাদান হাড়ের সংযোগস্থল নমনীয় করে তোলে। ফলে ব্যথা কমে।