শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বাড়ন্ত হলেই নানান ধরনের সমস্যা হতে দেখতে পাওয়া যায়। এমন হলে খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শরীরে পিউরিন নামক প্রোটিন ভেঙে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড সৃষ্টি করে ৷ হাতে পায়ে আঙুলের খাঁজে বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তখনই হয়ে থাকে যখন কিডনিতে পাথর হয়, কিডনি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে।
পিউরিনের স্তর বাড়লেই টক্সিনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইউরিক অ্যাসিডের স্তর অনেক কিছুতেই কমতে পারে। তবে লাউয়ের রসেই কাবু ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা যন্ত্রণা।
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ৷ লাউয়ের সবজি, লাউ চিংড়ি, নিরামিষ লাউঘন্ট খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া যদি কোনও কিছুই সম্ভব না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লাউয়ের রস খেলেই কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। লাউয়ের রস করার জন্য লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে মিক্সিতে দিতে হবে। জুস্যারেও দিতে পারেন সেখান থেকে রস নির্গত করে খেতে পারেন ইউরিক অ্যাসিড কমবে চোখে পড়ার মতই।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি খাবারের ওপর ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নির্ভর করে। চিকিৎসকদের মতে, ডাল, দই, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ঢেঁড়সের মত খাবারে প্রচুর মাত্রায় পিউরিন থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। গাঁটের ব্যথা কমাতে খাবারের মেনুতে রাখুন লাউ। লাউ শরীর সতেজ ও ঠান্ডা রাখে, বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বার করে দেয়, হজম শক্তি বাড়ায়। ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও প্রচন্ড উপকারী লাউয়ের জুস। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে লাউয়ের জুস খেলে শরীরের সমস্ত বর্জ্য বেরিয়ে যায়।
ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সক্ষম লাউ। লাউয়ের জুস ওজন কমাতে সাহায্য করে। জুস ছাড়াও লাউ সেদ্ধ করে টক দই, নুন ও গোলমরিচ দিয়ে খেতে পারেন,গরমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লাউ সেদ্ধ করে হালুয়াও বানাতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং শরীরে শক্তি বাড়ায়।