করোনার পর থেকে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। অল্পেতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। আর ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, সর্দি-কাশির মতো রোগ চেপে ধরেছে মানুষকে। তবে এমন কিছু শাক-সবজি রয়েছে, যা খেলে আপনি গোটা বছর ধরে সুস্থ থাকবেন। যদিও এই ধরনের শাক-পাতা গ্রাম বাংলাতেই বেশি পাাওয়া যায়। তবে একবার যদি বাজারে দেখেন তাহলে নিয়ে আসতে ভুলবেন না। কথা হচ্ছে, কুলেখাড়া পাতা। এই পাতার ঔষধি গুণ মারাত্মক। তাই পাতে যদি এই কুলেখাড়া পাতা রাখতে পারেন তাহলে গোটা বছরই সুস্থ থাকবেন আপনি।
কুলেখাড়া...বাংলার অতি পরিচিত এই শাক। ঔষধি গুণও মারাত্মক। একনজরে দেখে নিন, কীকী গুণ রয়েছে কুলেখাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাবারের স্বাদ প্রায়শই ভাল হয় না, এবং কুলেখাড়ার ক্ষেত্রেও তাই। এই ভেষজের পুষ্টিগুণ জানলে আপনি অবাক হবেন; এটি শুধুমাত্র ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়ামও রয়েছে। আমাদের চারপাশের সাধারণ শাক-সবজির তুলনায় কুলেখাড়ায় আয়রনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই ভেষজটির উপকারিতা এত জনপ্রিয় এবং ব্যাপক যে ওষুধ সংস্থাগুলি কুলেখাড়া দিয়ে সমৃদ্ধ পণ্য নিয়ে এসেছে।
পায়ের ব্যথায় বা রক্তক্ষরণ হলে
পায়ের চেটো বা শরীরের কোনও অংশ ফুলে উঠলে ১ টেবিল চামচ কুলেখাড়া পাতার রস গরম করে দিনে ২ বার খান। সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারে। আরাম পাবেন। কোনও কারণে কেটে গেলে, রক্তপাত হলে কুলেখাড়া পাতা থেঁতো করে কাটা জায়গায় চেপে বেঁধে দিন। রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে, ক্ষতও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে কুলেখাড়া পাতার রস সেদ্ধ করে, ছেঁকে নিয়ে সেই জল খান। এক সপ্তাহের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অথবা দিনে ২ বার ৪ চা চামচ কুলেখাড়া পাতার রস সামান্য গরম করে খান।
অনিদ্রার সমস্যা
ঘুমের সমস্যা হলে সন্ধ্যাবেলা ২-৪ চা চামচ কুলেখাড়ার শিকড়ের রস খান। উপকার পাবেন।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাবে
আলকুশি বীজগুঁড়ো ও কুলেখাড়া বীজগুঁড়ো করে গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত রাতের বেলা খান। স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ডায়েরিয়া ও আমাশয়ের চিকিৎসা হিসেবে কুলেখাড়ার ব্যবহার প্রমাণিত হয়েছে।