দেহকে সুস্থ্য রখতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। তার মধ্য অন্যতম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega 3 Fatty Acid Benefits)। এটি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যেটির শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কারণ এটি নিয়ম মেনে সেবন করলে হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া এই পুষ্টি উপাদান দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের (Omega 3 Fatty Acid Foods) দারুণ সোর্স। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারে বিশেষভাবে পাওয়া যায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
১. ডিম - অনেক মানুষই সকালের জলখাবারে ডিম (Egg) খেয়ে থাকেন। যার কারণে সারা দিন দেহে এনার্জি অটুট থাকে। মনে রাখবেন ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।
২. গরুর দুধ - দুধ সবসময় সুষম খাদ্য। আর এটি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও। তবে যদি দুধ থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে চান তাহলে গরুর দুধ (Cow Milk) বেশি পরিমানে খান। কারণ এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও যথেষ্ট পরিমানে পাওয়া যায়।
৩. সয়াবিন - প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় অনেকেই ডায়েটে সয়াবিন (Soybean) রাখেন। তবে এটি দেহে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও সরবরাহ করে। ভারতে, সয়াবিন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রান্না করে খাওয়া হয়। তবে কেউ চাইলে সয়াবিন তেলের মতোও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. আখরোট - ড্রাই ফ্রুটসের বিশেষ উপকারিতা আছে। তাই এটি অনেকেই খান। ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে আখরোটকে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি খেলে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কোনও অভাব থাকবে না। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন। আখরোটের গরম প্রভাব রয়েছে। তাই গরমকালে বেশি আখরোট (Walnut) খাবেন না।
৫. ফ্ল্যাক্সিড - শণের বীজ বা ফ্ল্যাক্সিডকেও (Flaxseed) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দারুণ উৎস হিসেবে ধরা হয়। আপনিও যদি এটি খেতে চান তাহলে এই বীজগুলিকে পিষে পাউডার তৈরি করুন বা এর বীজ দিয়ে লাড্ডু তৈরি করুন। তাতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন - 'চিরকুটে চাকরি পেয়েছিলেন সুজনের স্ত্রী', অভিযোগ TMC-র; জবাব CPM নেতার