Hypertension Effective Home Remedies: ইদানীং উচ্চরক্তচাপের (Hypertension) সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর রুটিন, বেহিসেবি জীবনযাপন অনেককেই মানসিক ও শারীরিক নানা সমস্যার শিকার করে তুলছে। তার মধ্যে একটি হল হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ। এ রোগে ধমনীতে রক্তের চাপ অনেক বেড়ে যায়। এই চাপের কারণে ধমনীতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure) এতটাই বিপজ্জনক যে কখনও কখনও এটি হার্ট অ্যাটাকের কারণও হতে পারে।
একজন ব্যক্তির রক্তচাপ সর্বদা পরিবর্তন হতে থাকে। যদিও এটি সাধারণত বৃদ্ধি পায় যখন একজন ব্যক্তি অনেক চাপ এবং চাপের মধ্যে থাকে বা স্বাস্থ্যকর খাবার খান না। রক্তচাপ খুব বেশি হয়ে গেলে বা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তা কিডনি ফেইলিওর, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য রক্তচাপের মাত্রা স্থিতিশীল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ৮টি ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন যেগুলি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর পর্মাণিত হয়েছে...
আরও পড়ুন: স্তনে কোন ধরনের পিণ্ড ক্যান্সারের-কোনটি সাধারণ, চিনবেন কীভাবে?
১) হাতে ম্যাসাজ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগকে অনেকাংশে উপশম করতে পারে। এর জন্য, একটি ভাল হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন, যাতে ল্যাভেন্ডার, গোলাপ বা নেরোলির মতো উপাদানের সুগন্ধী রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের হাতের তালুতে ম্যাসাজ করলে তাদের মানসিক চাপ দূর হবে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে। দুই হাতে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। প্রতিটি আঙুল এবং কব্জিও ভালভাবে ম্যাসাজ করুন। উপকার পাবেন।
২) দৈনিক যোগব্যায়ামের জন্য কিছুটা সময় বের করুন। যোগব্যায়াম অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তাই এটাকে আপনার রুটিনের একটি অংশ করে নিন।
৩) রাতে ঘুমানোর আগে আপনার বালিশে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ছিটিয়ে দিন। এতে শরীর-মনের উদ্বেগ কমবে, ভাল ঘুম হবে।
৪) দিনে একবার আপনার পা গরম জলে রাখুন। এই জলে সামান্য রক সল্ট এবং কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে নিন। এর পর ধীরে ধীরে পা ওই উষ্ণ গরম জলে ডুবিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৫) একটি ভাল মাথা ম্যাসাজ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে আপনাকে রক্ষা করতে খুব সহায়ক হতে পারে। হেড ম্যাসাজ আপনাকে সমস্ত টেনশন এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে। আপনি স্বস্তি বোধ করবেন, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে কিছু গরম তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। আপনার ভ্রু হালকাভাবে টিপুন, এটি অবশ্যই আপনাকে অনেক স্বস্তি দেবে।
৬) রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ঘন্টার ব্যবধান রাখুন। খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না। এ ছাড়া খাবারে কম মাত্রায় নুন খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি নুন খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে।
৭) বিকাল ৫টার পরে অ্যালকোহল সেবন এবং ধূমপান এড়াতে চেষ্টা করুন। কারণ, এই অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৮) কখনই কম আলোতে বসবেন না। মনকে খুশি রাখতে আপনার পছন্দের গান শুনুন। এছাড়া বাইরে বেড়াতেও যেতে পারেন। উপকার পাবেন।