scorecardresearch
 

বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো গুড় খাচ্ছেন না তো? নকল যে ভাবে চিনবেন...

গুড়কে পরিষ্কার করার জন্য সোডা ও অন্যান্য কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। শুদ্ধ বা খাঁটি গুড়ের রং হবে কালচে বাদামি। আর গুড় যদি অল্পবিস্তর সাদা বা হলুদ বর্ণের হয় তাহলে তা ভেজালের প্রমাণ। অর্থাৎ কৃত্রিম রং বা রাসায়নিকের ব্যবহার হলে গুড়ের রং সাদা বা হালকা বাদামি রঙের হয়ে যায়। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • গুড় চকচকে করতে মেশান হয় রাসায়নিক
  • গুড়ের রং সাদা হলে তা ভেজালের প্রমাণ
  • কালো বা কালচে বাদামি গুড় খাঁটি

গুড় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকেই নিয়মিতভাবে গুড় খান। তবে কোনটা খাঁটি আর কোনটা রাসায়নিক মিশ্রিত বা ভেজাল গুড়, তা বাছা খুবই মুশকিল। কারণ ভেজাল গুড় শরীরের খুবই ক্ষতি করে। এই বিষয়ে বিখ্যাত শেখ পঙ্কজ ভাদৌরিয়া নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি আসল ও নকল গুড় কী ভাবে চিনবেন, তা তুলে ধরেছন। ভিডিওতে এমন একটি পদ্ধতি বলা হয়েছে যার মাধ্যমে ক্রেতা খুব সহজেই খাঁটি ও ভেজাল গুড় চিনতে পারবেন। 

কী ভাবে তৈরি হয় ভেজাল গুড়?
জানা যাচ্ছে, গুড়কে পরিষ্কার করার জন্য সোডা ও অন্যান্য কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। শুদ্ধ বা খাঁটি গুড়ের রং হবে কালচে বাদামি। আর গুড় যদি অল্পবিস্তর সাদা বা হলুদ বর্ণের হয় তাহলে তা ভেজালের প্রমাণ। অর্থাৎ কৃত্রিম রং বা রাসায়নিকের ব্যবহার হলে গুড়ের রং সাদা বা হালকা বাদামি রঙের হয়ে যায়। 

শেফ জানাচ্ছেন, গুড়ে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও সোডিয়াম বাইকার্বোনেটও ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গুড়ের ওজন বাড়াতে ও সোডিয়াম বাইকার্বোনেট গুড়কে চকচকে করার জন্য ব্যবহার করা হয়। শেফ আরও জানাচ্ছেন, কালো বা কালচে বাদামি রঙের গুড় পুরোপুরি রাসায়নিক বর্জিত হয়। কারণ আখের রসকে যখন জ্বাল দেওয়া হয় তখন সেটির রং হয়ে যায় কালো। কিন্তু এর ওজন বাড়াতে ও এটিকে চকচকে করার জন্য তারমধ্যে রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। এই গুড় দেখতে ভাল লাগে। তবে বাজার থেকে কালো বা কালচে বাদামি গুড় কেনারই পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। 

Advertisement

গুড় খাওয়ার উপকারিতা
গুড় খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি, রক্তাল্পতা প্রতিরোধ, লিভার ডিটক্সিফিকেশন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হয়। বরং চিনিতে মেদ বৃদ্ধি, টাইপ -২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ডিপ্রেশান, ডিমেনশিয়া, লিভারের রোগ এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

Advertisement