বিয়ের পর একটা মেয়ে যখন শ্বশুরবাড়িতে যায়, তাঁর কাছে পুরো পরিবেশটাই অচেনা থাকে। লাভ হোক বা দেখাশোনা করে, একটা মেয়ের যখন বিয়ে হয় তখন সে তাঁর চেনা ঘর, বিছানা, চেনা মানুষজনকে ছেড়ে একেবারে অচেনা পৃথিবীতে প্রবেশ করেন। পুত্রবধূ হিসাবে প্রথমেই একটা মেয়ের দায়িত্ব হল তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা। এখন তো অনেকে বিয়ের আগে থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে থাকেন। বিয়ের পর যাতে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক বউমার সম্পর্ক আরও ভালো হয় তার জন্য রইল কিছু সহজ টিপস।
শাশুড়িকে কী বলে ডাকবেন
শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে অনেকের অসুবিধা হয় প্রথম প্রথম আর সেই আড়ষ্টতা ধরা পড়ে যায়। আবার অনেকেই শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে চান না। সেটা কিন্তু শাশুড়ির মোটেই ভালো লাগে না। তাই নতুন কোনও আদুরে নাম পাতিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো। যেমন ‘মামণি’ বা ‘মামমাম’ ধাঁচের। এতে শাশুড়িও খুশি হবে আর আপনিও নিশ্চিত থাকবেন।
শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটান
বিয়ের পরই বেশিরভাগ মায়ের মনে হয় যে ছেলে বুঝি এখন বউয়ের, আর মায়ের নেই। তাই বিয়ের পর পরই ঝামেলা এড়াতে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ করতে প্রথম প্রথম একটু বেশি সময় দিন তাকে, সেটা বসার ঘরে হোক বা কিচেনে। বর যখন থাকবে না তখন শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করুন, এতে শাশুড়িরও আপনাকে বুঝতে সহজ হবে।
সারপ্রাইজ দিন
শাশুড়ি যা ভালোবাসেন, বই বা সিনেমা বা শপিং অথবা গার্ডেনিং। শাশুড়ির সেই হবিতে তাঁর সঙ্গী হয়ে যান। কখনও হঠাৎ করে বই উপহার দিন অথবা সিনেমার টিকিট কেটে সারপ্রাইজ দিন অথবা নতুন কোনও গাছ এনে চমকেও দিতে পারেন।
শাশুড়িকে নতুনভাবে সাজান
সংসার ও সন্তানদের দিকে নজর দিতে দিতে শাশুড়িরা নিজের দিকে চেয়েও তাকান না। বিয়ের পর এসে সেই বিষয়টাকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করুন। শাশুড়িকে সম্ভব হলে নিজের হাতে সাজান। কোনও অনুষ্ঠানে গেলে একসঙ্গে সাজুন, ত্বকের চর্চা করুন। একটু নতুন ধাঁচে চুল বেঁধে দেওয়া বা যেমন শাড়ি তিনি পরেন, তার চেয়ে অন্য রকম শাড়ি তাকে উপহার দিন। দেখবেন এতে সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে উঠবে।
সেলফি পোস্ট
এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। তাই মাঝেমধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করুন এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের ট্যাগ করুন। সবসময় শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক খারাপ হয় এই মিথটা ঘুচিয়ে দিন।
শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করবেন না
কখনো শ্বশুর বা স্বামী অথবা শ্বশুরবাড়ির অন্য কারও সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় অংশ নেবেন না। বরং এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন অথবা চুপ করে থাকুন।
অধিকার ফলানো
আপনার স্বামীর ওপর আপনার অধিকার সবচেয়ে বেশি এটা শাশুড়ির কাছে প্রকাশ করার দরকার নেই। ছেলে হিসাবে মায়ের অধিকার যেমন রয়েছে স্ত্রী হিসাবে আপনার অধিকারও রয়েছে আপনার বরের ওপর। তবে কোনও অধিকারই যেন সীমা অতিক্রম না করে।