তুমুল বর্ষা। কিছু স্থানে বন্যা পরিস্থিতিও দেখা দিচ্ছে। এমন সময়ে চারদিকে জল থাকায় বাড়িতে সাপে আশ্রয় নিতে পারে। অনেক সময়ে সাপের গর্তে জল ঢুকে যায়। সেই কারণেই সাপ আরও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উঠে আসে। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।
বৃষ্টির দিনে সাপ দূরে রাখবেন কীভাবে?
সাপ দূরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ঘরের আশপাশ সাফসুতরো রাখা। অপ্রয়োজনীয় জিনিস, টব, ইঁট জমিয়ে রাখবেন না। ইঁটের পাঁজরের মতো স্থানে সাপ আশ্রয় নেয়। অর্থাৎ বৃষ্টি থেকে বেঁচে সাপ আশ্রয় নিতে পারবে, এমন কিছু যেন না থাকে।
একইভাবে বাগানের আশেপাশে ঝোপঝাড়, বড় ঘাস কেটে ফেলুন। গাছের গোড়া, নর্দমার ধার পরিষ্কার রাখুন। যাতায়াতের রাস্তা যেন সবসময়ে সাফসুতরো থাকে। রাতে বাগান, বাড়ির প্রবেশপথে অবশ্যই আলো জ্বালান।
বাড়িতে ইঁদুর থাকলে সাবধান। কারণ সাপের প্রধান খাদ্য এই ইঁদুর ও ব্যাঙ। ফলে ইঁদুরের লোভে ঘরে সাপ ঢুকতে পারে।
সাপ তাড়ানোর আগে ইঁদুর তাড়ানোয় নজর দিন। বাড়ির ভাঁড়ার ঘরে যাতে ইঁদুর না থাকে, সেদিকে নজর দিন।
একইভাবে বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা, উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলবেন না। এতে ইঁদুরের আনাগোনা হয়। ইঁদুর বাড়লে সাপ বাড়বে।
কার্বলিক অ্যাসিডে কোনও লাভ হবে না। হাওয়ার সংস্পর্ষে এমনিতেই এর জোর কমে যায়। তাছাড়া বৃষ্টির জলে এগুলি ধুয়ে বেরিয়ে যায়।
একইভাবে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়েও সাপ দূরে রাখা সম্ভব নয়।
বাথরুম, ঘরের নিকাশি গর্তে অবশ্যই জাল লাগান। বাড়ির দরজা সবসময়ে বন্ধ রাখুন।
মনে রাখবেন:
সাপ কখনও যেচে এসে কামড়ায় না। বিরক্ত করা হলে, ভুল করে গায়ে পা দিয়ে ফেললে আত্মরক্ষার্থে ছোবল দেয়। তাই বাড়িতে সাপ দেখলেও নিজেরা তাকে তাড়াতে যাবেন না। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দিন। স্থানীয় থানা-ফাঁড়িতে জানালে পুলিশকর্মীরাও বনকর্মীদের খবর দিতে পারেন।