শরীরের অনেক ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টির প্রয়োজন। অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে, যার মধ্যে একটি হল ভিটামিন ডি। অন্য সব ভিটামিন ছাড়াও আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি খুব প্রয়োজন। ভিটামিন ডি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। জেনে নিন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হবে কীভাবে?
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কেন হয়?
ভিটামিন ডি এর অভাব মানে আপনার শরীরে এই বিশেষ ভিটামিনের পরিমাণ খুবই কম। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে। কিন্তু আজকাল মানুষের ত্বক খুব কম সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে যার কারণে শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না এবং এর কারণে শরীরে এর ঘাটতি শুরু হয়।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি-
- রেগুলার অফিসযাত্রীরা ভিটামিন ডি-এর অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগে। এরা রোদে বসার সময় পান না। যে কারণে এদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি খুব বেশি দেখা যায়।
- ৫০ বছরের বেশি বয়সের পর শরীরে অনেক ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়, যার মধ্যে ভিটামিন ডিও একটি। এই বয়সে শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সক্ষম হয় না। যে কারণে এই বয়সের মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে হয় অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে।
- এনআইএইচ-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, যাদের বডি মাস ইনডেক্স ৩০-এর বেশি বা তাদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি তারাও ভিটামিন ডি-এর অভাবের সম্মুখীন হতে পারেন।
কীভাবে বাড়াবেন ভিটামিন ডি?
মাশরুম
মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে। মাশরুম ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কম তেলে রান্না করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সি ফুড
কিছু মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেল মাছে ভিটামিন ডি থাকে। যদি আমিষভোজী হন তবে আপনি তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
দুধ
এছাড়াও দুধে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। বিশেষ করে গরুর দুধে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এর পাশাপাশি সহজে হজম হয়।
দই
দইয়ে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। দই হাড় মজবুত করে এবং হার্ট ভাল রাখে।
ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা উপায় কি?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উৎস হল চর্বিযুক্ত মাছ এবং মাছের তেল। ডিমের কুসুম এবং পনিরে অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। উপরন্তু, কিছু মাশরুমে কিছু ভিটামিন D2 থাকে।
ভিটামিন ডি এর জন্য রোদে বসার সঠিক সময় কোনটি?
অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সকাল ও বিকেল হল রোদে বসার সেরা সময়। দুপুরে UVB রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। এর মানে হল আপনি কম সময়ে বেশি ভিটামিন ডি পাবেন। কমপক্ষে ১০ মিনিট এবং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট রোদে বসলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।