সম্পর্কে থাকা শরীর ও মন দুটোর জন্যই ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন অথবা বিবাহিত দম্পতি তাঁদের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। কিন্তু সিঙ্গল বা একা যাঁরা তাঁদেরও কিন্তু রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যগত সুবিধা। অনেকেরই ধারণা, একা থাকলে মানুষের হতাশা বাড়ে ও কর্মস্পৃহা কমে। এ ধারণা একদম ভুল, কারণ গবেষণা বলছে যারা একা থাকেন তারাই বরং বেশি ভালোভাবে বাঁচেন। তাই সিঙ্গল মানেই কিন্তু খারাপ থাকা নয়। বিভিন্ন গবেষণা বলছে সিঙ্গেলরাই বেশি স্বাধীন জীবন কাটান মিঙ্গেলদের তুলনায়। এমনকি একা থাকার কারণে তারা স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সুবিধাও ভোগ করেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
জীবনে চাপ কম থাকে
সিঙ্গলদের জীবনে চাপ কম থাকে। এটি কেবল সম্পর্কের কারণে নয়, আর্থিকভঅবে তারা চাপমুক্ত থাকেন বিবাহিতদের তুলনায়। অবিবাহিত নিজের জন্য ও পরিবারের জন্য উপার্জন করেন। অন্যদিকে বিবাহিতরা নিজ সংসারের চাপে পড়ে কেবল উপার্জন নিয়েই ভাবেন। এতে মানসিক চাপ বাড়ে। আবার সিঙ্গলরা আর্থিকভাবে চাপমুক্ত থাকায় মানসিকভাবেও সুস্থ থাকেন।
জিমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সিঙ্গলদের জিমে যোগদান করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে পুরুষরা যখন অবিবাহিত থাকেন, তখন তারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও সচেতন থাকেন। এতে কার্ডিয়াক সমস্যা, স্থূলতা ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকেন সিঙ্গলরা।
ঘুম ভালো হয়
ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুমের জন্য ঘরের পরিবেশও স্বস্তিদায়ক হওয়া উচিত। যদিও বিবাহিতরা সঙ্গীর সঙ্গে বিছানা ভাগাভাগি করে নেন। তবে অনেকেই পাশে কেউ থাকলে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। তবে এদিক দিয়ে সিঙ্গলরা নিশ্চিন্তে থাকেন। তারা নিশ্চিন্তে গভীরভাবে ঘুমাতে পারেন।
নিজের জন্য সময় পাওয়া যায়
আপনি যখন কোনো সম্পর্কের মধ্যে থাকেন, তখন বারবার সঙ্গীর খোঁজ নিতে হবে ও সেই অনুযায়ী সময় বের করতে হবে। সবদিক বিবেচনা করে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ মুশকিল হয়ে উঠবে। তবে আপনি একা হলে এ বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে না। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্বাধীনভাবে থাকা যায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা বিয়ের আগেই বেশি সুখী থাকেন। এটি পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সিঙ্গেল থাকা অবস্থায় পুরুষরা তুলনামূলকভাবে নারীর চেয়ে বেশি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন। ফলে তারা বেশি সুখীও থাকেন। তাই সিঙ্গলরা সময় মন খারাপ না করে বরং স্বাধীনভাবে দিন কাটান।