চলছে উৎসবের মরসুম। যে কোনও উৎসব মানেই আড্ডা, ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া- দাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা। ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের কামনায় পালিত একটি পবিত্র উৎসব। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাই - দাদাদের কপালে চন্দন-কাজল- দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করে তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন। ভাইফোঁটা প্রথার সঙ্গে পেট পুজো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বাঙালির যে কোনও উৎসব মানে, যে দুই খাবারের কথা মাথায় আসে তা হল ইলিশ ও বিরিয়ানি। রুপোলী ফসল পছন্দ করেন না কিংবা ইলিশের নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি বোধ হয় খুব কমই আছে। অন্যদিকে যে কোনও অনুষ্ঠানে বিরিয়ানিও একেবারে হিট। কেমন হয়, যদি এই দুটি জিনিস মিলিয়ে তৈরি করা যায় একটি পদ? বাড়িতে সহজেই বানাতে পারেন ইলিশ বিরিয়ানি। জানুন একেবারে সহজ রেসিপি।
উপকরণ:
* বাসমতি চাল- ১ কেজি
* ইলিশ মাছ- ১০ টুকরো
* ধনে গুঁড়ো- ২ চা চামচ
* জিরে গুঁড়ো- ২ চা চামচ
* টক দই- ১৫০ গ্রাম
* আদা বাটা- ২ চা চামচ
* রসুন বাটা- ২ চা চামচ
* পেঁয়াজ বাটা- আধ কাপ
* লঙ্কা বাটা- আধ কাপ
* গরমমশলা গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
* ভেজানো কাঠবাদাম: ২ চা চামচ
* নুন: স্বাদ অনুসারে
* ঘি: ৫০ গ্রাম
* কেওড়া জল: ১ চা চামচ
* গোলাপ জল: ২ টেবিল চামচ
* পাতিলেবু: ১টি
* কাজু ও কিশমিশ: আধ কাপ
* টমাটো বাটা: ২ কাপ
প্রণালী
* প্রথমে চাল ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন।
*এবার ইলিশের টুকরোগুলিও ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে লেবুর রস, টমাটো বাটা ও পরিমাণ মতো নুন দিয়ে মাছগুলি ম্যারিনেট করে রাখুন।
* এবার একটি হাঁড়িতে জল গরম করতে বসান। জল ফুটে উঠলে অল্প নুন দিয়ে চালটা সিদ্ধ করতে দিন।
* চাল সিদ্ধ হয়ে এলে, ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন।
* একটি হাঁড়ি বা পাত্রে ভাতটা ঢেলে, এর উপর ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলি সাজিয়ে দিন।
* এর উপর কাঁচালঙ্কা, কাজু, কিশমিশ, তেল ও ঘি ছড়িয়ে দিন।
* এবার হাঁড়ির মুখ আটার ঘন মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে আটকে দিন, যাতে হাঁড়ির ভাপ বাইরে বেরোতে না পারে।
* মিনিট পাঁচেক মতো মাঝারি আঁচে রাখুন। এরপর আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন আরও ৩০ মিনিট মতো।
* এবার তাওয়া গরম করে তার উপর আরও ২০ মিনিট রেখে গ্যাস নিভিয়ে দিন।
* বিরিয়ানির পাত্রটি সুবিধা মতো নেড়েচেড়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মাছ ও মশলা, ভাতের সঙ্গে সমান ভাবে যাতে মিশে যায়।
* আপনার ইলিশ বিরিয়ানি একেবারে তৈরি। গরম গরম পরিবেশন করুন সুন্দর করে সাজিয়ে।
বাইরের কেনা খাবারের থেকে বাড়িতে বানানো এই পদ যেমন কম ক্ষতিকারক, সেরকম স্বাদেও কোনও অংশে কম না। বাড়িতে অতিথি এলে যেমন খেতে দিতে পারেন এই ডিশ, আবার কারও বাড়িতে গেলে কিংবা উপহার হিসাবেও এটি দারুণ হবে নিঃসন্দেহে। তাহলে আর দেরি কেন? আপনিও রাঁধছেন তো ইলিশ বিরিয়ানি?