সুষম খাদ্যগুলির মধ্যে দুধ অন্যতম। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি শক্তি জোগায় ক্লান্তি দূর করে। দুধের এত পুষ্টি থাকার পরও শিশুদের কাছে দুধ যেন তেতো খাবারের সমান। কিছুতেই মুখে নিতে চায় না দুধ। শিশুদের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদের রীতিমতো মেহনত করতে হয়। তাই দুধ যাতে বাচ্চারা তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয় সেই কারণে অধিকাংশ বাড়িতেই শিশুদের দুধে চিনি মেশানো হয়। দুধে চিনি মেশানো থাকলে বাচ্চারাও ঘ্যান-ঘ্যান না করে তা খেয়ে নেয়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ধরনা কি আদৌ ঠিক? দুধে চিনি মিশিয়ে কি আদৌ বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত?
শরীরের ক্ষতি করে শিশুদের
সমীক্ষা অনুসারে, দুধে চিনি থাকলে বাচ্চাদের তা খুবই পছন্দ হয় এটা ঠিকই। দুধের গ্লাসও ফাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু গবেষণা অনুসারে, দুধে চিনি মিশিয়ে খাওয়ালে তা আসলে শিশুদেরই ক্ষতি করছে।
শিশুদের ওজন বাড়তে পারে
গরুর দুধে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যা বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এদিকে সেই দুধে যদি চিনি মিশিয়ে বাচ্চাদের পান করান, তাহলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার শিশুর দাঁতের জন্যও ক্ষতিকারক। তাই আজ থেকেই দুধে চিনি মেশানোর ভুল কাজটা করবেন না দয়া করে।
রোজ চিনি মেশাবেন না
মাঝে মধ্যে স্বাদ বদলাতে বাচ্চার দুধে অল্প করে চিনি মেশাতেই পারেন। তবে রোজ রোজ একদম নয়। কখনও সখনও ঘরে তৈরি ফ্রুট মিল্ক শেকও বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। মনে রাখবেন, বাচ্চাকে যত দুধ খাওয়াবেন, তত বেশি উপকার মিলবে। তবে চিনি ছাড়া দিতে হবে দুধ। দিতে পারেন লস্যি এবং বাটার মিল্কও। প্রসঙ্গত, বাচ্চাকে দুধ দিন গ্লাসে বা কাপে। বোতলে দেবেন না যেন!
কী মেশাবেন
আপনি চিনির পরিবর্তে দুধে সামান্য গুড় যোগ করতে পারেন বা বাতাসা এক টুকরো নয়তো বাচ্চাদের মিষ্টি ছাড়া দুধ দেওয়া উচিত। কারণ, দুধে চিনি যোগ মানেই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত পানীয় হয়ে গেলো। বাচ্চাদের দুধে কোনো ফল সংযোগ করতে পারেন তাতে করে দুধ ও ফল দুই খাওয়া হয়। কিংবা দুধে বাদাম পেস্ট বা হলুদ। কোনওভাবেই দুধে চকোলেট পাউডার, চিনি সংযোগ করবেন না।