বিখ্যাত কথাবাচক ও মোটিভেশনাল স্পিকার জয়া কিশোরীকে আজ কে না চেনে! তাঁর কথা বলার ধরন এবং ভজন ভারত তো বটেই বিদেশেও সমাদৃত। সারা বিশ্বে জয়া কিশোরীর কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে। এ ছাড়াও ফিটনেসের কারণেও তিনি শিরোনামে। আজকের দিনে জয়াকে যতটা স্লিম এবং ফিট দেখায়, আগে তিনি এমন ছিলেন না। একটা সময় ছিল যখন জয়ার ওজন খুব বেশি ছিল। একটি সাক্ষাৎকারে জয়া কিশোরী বলেছেন, মাত্র ১৫ দিনে নিজের ওজন কমিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজের ডায়েটও শেয়ার করেছেন। কীভাবে অল্প দিনে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনলেন জয়া কিশোরাী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
জয়া কিশোরী কীভাবে ১৫ দিনে ওজন কমালেন? সাক্ষাৎকারের সময় মোটিভেশনাল স্পিকার বলেছেন,'প্রথম দিকে আমি ওজন কমানোর জন্য ক্র্যাশ ডায়েট করেছিলাম। পরে আমাকে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য অনুশোচনা করতে হয়েছিল। আমি প্রায় খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এতে আমার ওজন কমছিল। এদিকে স্বাস্থ্যও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। আমার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। কোন কাজে মন দিতে পারতাম না। পড়ায় মন বসাতে পারতাম না। এসব যখন মাত্রাতিরিক্ত হল, তখন বুঝলাম এই পদ্ধতি ঠিক নয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যদি আমার কাছে না পৌঁছায়, তাহলে মন চনমনে থাকবে কী করে? তাই অন্য পথ নিলাম।'
জয়া কিশোরী আরও বলেন,'আমি ভেবেছিলাম খাবারের দিকে বেশি খেয়াল রাখব। উল্টো-পাল্টা খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছি৷ ৯৮-৯৯ শতাংশ সাত্ত্বিক খাবারই খেতে পছন্দ করি। তবে ১-২ শতাংশ ছাড় দিয়েছি।' চাল ও বেসন তৈরি জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করেন জয়া কিশোরী। চিনি খাওয়ার উপর রাশ টেনেই ওজন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন বলে দাবি করেছেন এই কথাবাচক। তিনি জানান,'ওজন কমানোর জন্য চিনির উপর রাশ টেনেছিলাম। কোনও খাবারেই চিনি দিইনি।'এছাড়া গমের রুটির চেয়ে বাজরা রুটি বেশি খেতে শুরু করেন জয়া কিশোরী। যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী হয়েছে। এছাড়াও,শরীর সুস্থ রাখতে তিনি বেশি করে জল খান।
খাওদায়দাওয়া নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করেছেন জয়া কিশোরী। তাঁর মতে, ওজন কমানোর পরেও তিনি প্রতিদিন যোগব্যায়াম করেন। কোনও কারণে ওয়ার্কআউট করার সময় না পেলে পরেরদিন অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন।
জয়া কিশোরীর ডায়েট
১। নিয়মিত শরীরচর্চা
২। কোনওদিন বাদ পড়লে পরের দিন অতিরিক্ত ব্যায়াম।
৩। পর্যাপ্ত জল খাওয়া।
৪। জাঙ্ক ফুড এড়ানো
৫। সাত্ত্বিক আহার
৬। ৯৮-৯৯ শতাংশ সাত্ত্বিক খাবার
৭। ১-২ শতাংশ ছাড়