scorecardresearch
 

Kidney Failure Symtoms: জোড়া কিডনি ফেলিওর হলেও বাঁচা যায়? লক্ষণ ও কারণ জানালেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

দেশে প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ জনের কিডনি বিকল হয়। সারা দেশে এক বছরে প্রতিস্থাপন করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের কিডনি। এর মধ্যে এমন মানুষ আছেন যাঁরা সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান।

Advertisement
কিডনির সমস্যা এড়াতে কী করবেন? কিডনির সমস্যা এড়াতে কী করবেন?
হাইলাইটস
  • দেশে প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ জনের কিডনি বিকল হয়।
  • সারা দেশে এক বছরে প্রতিস্থাপন করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের কিডনি।

কোনও না কোনও কিডনির অসুখে ভুগছেন ভারতের প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ। দেশে প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ জনের কিডনি বিকল হয়। সারা দেশে এক বছরে প্রতিস্থাপন করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের কিডনি। এর মধ্যে এমন মানুষ আছেন যাঁরা সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান। নতুন দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সুধীর চাড্ডা ব্যাখ্যা করেছেন,কিডনি ফেলিওর কী অবস্থায় বলা যেতে পারে? জোড়া কিডনি নষ্ট হয়ে গেলেও কি কোনও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে?

কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত ​​পরিষ্কার করা। প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং লোহিত রক্ত ​​কণিকা উৎপাদনের পাশাপাশি কিডনি শরীরের pH মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমতে শুরু করে। এমনটা হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে প্রাণও হারাতে পারে। কিডনি বিকল কী?

শরীরে শিমের আকৃতির মতো কিডনি। এগুলি পাঁজরের ভিতরে পিছনে অবস্থিত। সাধারণত কোনও মানুষের শরীরে উভয় কিডনিই কাজ করে। কিন্তু কোনও কারণে যদি একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বাকি একটি মাত্র কিডনি নিয়েই বেঁচে থাকতে পারে মানুষ। তবে বেঁচে থাকা কিডনি যে ঠিকঠাক কাজ করে। সচেতনতার অভাব এবং সময়মতো চিকিৎসার অভাবে মানুষের অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হয়। 

কাদের কিডনি বিকলের ঝুঁকি বেশি? 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের রোগীদের কিডনি ফেলিওরের সমস্যায় পড়তে হয়। শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যে কারণে কিডনির পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। হাই ব্লাড প্রেসারে রক্ত ​​​কোষে রক্ত ​​খুব দ্রুত প্রবাহিত হয়। দ্রুত রক্তপাতের কারণে কিডনির কোষ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে কিডনি ফেলিওরের সমস্যায় পড়তে হয়। কিডনি বিকলের পারিবারিক ইতিহাসও রয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

Advertisement

কেন কিডনি বিকল হয়? 

যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খানন তাঁদের কিডনি ফেলিওরের ঝুঁকি অনেক বেশি। হাইপার টেনশন, স্ট্রোক ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপানও কিডনি বিকল হওয়ার শঙ্কা বাড়ায়।

কিডনি ফেলিওরের লক্ষণ? 

-বমি 
-ক্লান্তি
-খিদে কমা 
-দুর্বলতা 
-ঘুমোতে অসুবিধা 
-খুব বেশি বা খুব কম প্রস্রাব করা
-পা এবং গোড়ালি ফোলা 
-শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি

দু'টি কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে কি জীবন বাঁচানো যায়? 

ব্রেন ফেলিওর, হার্ট ফেলিওর বা লিভার ফেলিওরের তুলনায় কিডনি ফেইলিওর রোগীদের জীবন খুব সহজেই বাঁচানো যায়। এর জন্য ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্ল্যান্ট  করা হয়। রোগীর বয়স কম হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু রোগীর বয়স বেশি হলে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। ডায়ালিসিসের মাধ্যমে কোনও সমস্যা ছাড়াই ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচা যায়।


কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য কী করতে হয়?

দাতা পরিবারের একজন সদস্য থাকতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপন দুই ধরনের হয়। প্রথমত,যাঁদের রক্তের গ্রুপ মেলে। দ্বিতীয়ত,রক্তের গ্রুপ মেলে না। যাঁদের রক্তের গ্রুপ মিলে যায় তাঁদের কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। যাঁদের রক্তের গ্রুপ মেলে না তাঁদের খরচ ১৫ লাখের কাছাকাছি। রক্তের গ্রুপ না পেয়েও কিডনি দান করা যায় সহজেই। এ জন্য কিডনি দাতার দুটি কিডনি থাকতে হবে। দু'টিই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে হবে। 

কিডনি বিকল এড়াবেন কীভাবে? 

কিডনি ফেলিওর থেকে স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনও ওষুধ না খাবেন না।

Advertisement