বয়স পঞ্চাশ পেরোলে শরীরে দিকে আরও বেশি খেয়াল রাখার দরকার পড়ে। মেটাবলিজম কমে যায়। তাতে নষ্ট হয় শরীরিক গড়ন। ঘুমও আগের চেয়ে বেড়ে যায়। শিথিল হতে শুরু করে ত্বক। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু সংযম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ডায়েটে যত্নবান হলে পঞ্চাশের পরেও তরতাজা থাকতে পারেন। কীভাবে?
প্রাতরাশ- সকালের প্রাতরাশ এড়িয়ে চলেন অনেকে। এটা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রথিতযশা পুষ্টিবিদ পেনি লরিয়র। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রোটিনের দরকার। প্রোটিনের অভাবে বিগড়ে যেতে পারে মেটাবলিজম ও শারীরিক গঠন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট করলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পায়। সেজন্য কখনও প্রাতরাশ এড়িয়ে যাবেন না। সকালের ডায়েটে ফাইবার, প্রোটিন পাওয়া যায় এমন খাবার খান।
প্রসেসড ফুড- বয়স বাড়লে প্রসেসড ফুড খাওয়া উচিত নয়। তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। অস্বাস্থ্যকর তো বটেই অত্যাধিক নুনও থাকে ওই ধরনের খাবারে। পুষ্টি সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওজন বাড়ার জন্য দায়ী প্রসেসড ফুড। শুধু তাই নয় উচ্চরক্তচাপ, হৃযযন্ত্রের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়।
ফল ও সবজি- ডায়েটে রাখুন তাজা ফল ও সবজি। তাজা ফল ৫০ বছরের পর ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকায় অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। চট করে খিদে পায় না। রস খাওয়ার চেয়ে গোটা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- মাত্র ৩ ঘণ্টায় ডায়াবিটিস রোগীদের সুগার কন্ট্রোল করে এই পানীয়
স্বাস্থ্যকর সঙ্গম- স্বাস্থ্যকর সেক্সের ব্যাপারে নজর দেওয়া দরকার। কারণ এই সময়ে সেক্স লাইফ আগের মতো থাকে না। ফলে অতিরিক্ত সাবধান হওয়া দরকার।
উদ্ভিদ প্রোটিন- প্রোটিন পাওয়া যায় এমন শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বাদাম, ছোলা, নানা ধরনের শস্যদানা খেতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। মাংস কম খান। কারণ মাংস থেকে প্রোটিনে শরীরে কোলেস্টরল বাড়ে।
শরীর চর্চা- পঞ্চাশের পরে শুধু খাওয়া-দাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখলেই হয় না। ঘা ঘামানোও জরুরি। নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। সকালে উঠে যোগাভ্যাস করুন। জিমে গিয়ে ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্কআউটও করতে পারেন। সকালে নিয়ম করে হাঁটুন। মোট কথা শরীরকে সচল রাখুন।
আরও পড়ুন- ভাবছেন স্বাস্থ্যকর? সকালে খালি পেটে ভুলেও খাবেন না এই ৭ খাবার