বর্তমান সময়ে খারাপ লাইফস্টাইল, ভুল খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ইত্যাদির কারণে বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা। গত কয়েক বছরে দেশে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) ও তার জেরে মৃত্যুর পরিমান অনেকটাই বেড়েছে। আগে মূলত বয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা যেত। তবে এখন অল্পবয়সিরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই প্রত্যেকেই হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা উচিত। এক্ষেত্রে বেশিকিছু না, জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন এনেই হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
ভাল খাবার যে শুধু স্বাস্থ্যেরই উন্নতি ঘটায় এমনটা নয়, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও মানুষকে রক্ষা করে। হার্ট যাতে ঠিক মতো কাজ করে তার জন্য বিশেষ জরুরি ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium Benefits)। তাই হার্টকে ভাল রাখতে ডায়েটে সামিল করুন ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
১. ডার্ক চকোলেট - এই খাবারটি ম্যাগনেশিয়াম-সহ বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমানে তাকে আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। এতে ফ্ল্যাভানল থাকে, তাই এটি হার্টের জন্য খুবই উপকারী। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে ফ্ল্যাভানল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. বাদাম - বাদাম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্যও পরিচিত। বাদাম রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হার্টকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বাদাম খেতে পারেন।
৩. বীজ - চিয়া, সূর্যমুখী এবং কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভাল উৎস। এই সমস্ত বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্টকে শক্তিশালী করে। তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এগুলিও রাখতে পারেন।
৪. সবুজ শাক সবজি - ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাক সবজি অবশ্যই দৈনন্দিন ডায়েটে থাকা উচিত। পালং শাক, মেথি, সর্ষের মতো শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের বিশেষ উপকার করে।
৫. কলা - কলা পটাশিয়ামের অত্যন্ত ভাল উৎস। পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। কলায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম উভয়ই রয়েছে। তাই সবারই প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন - শীতে মহৌষধ আদা, পুরুষের এই সমস্যার করে সমাধান