বর্তমান জীবনযাত্রায় ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে। সারাদিন দৌড়ঝাঁপ। অফিসে শ্বাস নেওয়ার ফুরসত নেই। কাজের চাপ। সেই সঙ্গে ইএমআই-র বোঝা। সন্তানকে বড় করার চিন্তা। তার ফলে বাড়ছে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগবালাই বাসা বাঁধছে শরীরে। রাতে ঘুম আসছে না। হার্টে সমস্যা হচ্ছে। এই মানসিক চাপ থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন? তারই দিশা দেখালেন গৌরগোপাল দাস।
মতের অমিল হলে কী করবেন? অনেক সময় কাছের মানুষদের সঙ্গে মতের অমিল হয়। তাতে মন খারাপ হয়ে যায়। গৌর গোপাল দাসের কথায়,'এটা কি ক্লোনের জগত? আপনি কি ক্লোনের জগতে বাস করতে চান যেখানে সবাই একই রকমের হয়,সবার সঙ্গে একমত হতে হবে? প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাঁদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রয়েছে। সম্মতির সঙ্গে অসম্মতিও হতে পারে বিভিন্ন বিষয়ে।' তিনি যোগ করেছেন, 'কখনও কখনও বিভিন্ন বিষয়ে খুব নির্লজ্জভাবে, অসংবেদনশীলভাবে অসম্মত হন অনেকে। সম্মানের সঙ্গেও মতানৈক্যও হতে পারে।' তাঁর কথায়,'সংগ্রাম ও মতানৈক্য জীবনের একটি অংশ। সেই সঙ্গে মানুষের ভাবনাচিন্তা বোঝাও দরকার।'
মানসিক চাপ কীভাবে কমাবেন? গৌর গোপাল দাস বলেন,'পুরোনো স্মৃতিই মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছিল তা আমরা মনে বহন করে চলছি। আমরা যদি কোনও কিছুকে ধরে রাখতে পারি, তাহলে তার প্রভাব অবশ্যই পড়বে। মানুষ স্ট্রেস নিয়ে বিরক্ত হয় কারণ স্ট্রেসটা বড় নয়, বরং তারা এটাকে বেশিদিন ভুলে যেতে চায় না। মানুষ সে কথা ভাবতে থাকে প্রতিনিয়ত। সে নিজেই বয়ে নিয়ে চলে।'
তিনি আরও যোগ করেছেন,'কোনও বিষয় মনে মধ্যে থেকে যায়। তা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে হবে, সেটাই বুঝতে পারেন না অধিকাংশ মানুষ। সমস্যাটি চিন্তা ও বোধবুদ্ধির জায়গা দখল করে।'
কীভাবে পরিত্রাণ? গৌর গোপাল দাসের মতে, নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মানসিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে মানসিক ডিটক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার আর একটি উপায় হল, মূল্যবোধ ও জীবন যাপনের উপায়। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই কেল্লাফতে।
নিজের মতো করে বাঁচার পরামর্শও দেন গৌর গোপাল দাস। তিনি বলেন,'কিছু মানুষ তাঁদের স্বপ্নের জন্য প্রিয়জনকে ছেড়ে যায়, আবার কেউ কেউ স্বপ্ন দেখে প্রিয়জনের জন্য। এই পৃথিবীতে অন্য কারও মন জিততে আসিনি, বরং আমরা নিজেকে প্রকাশ করতে এসেছি। মানুষ বিশ্বকে জানতে চায়, কিন্তু সে কী তা কেউ জানে না।'