অনেকে মনে করেন পনির ও টোফু একই জিনিস। এই দুই জিনিস দেখতে একই রকমের। আবার অনেকের মতে এই দুই খাবার একে-অপরের থেকে একেবারে আলাদা। পনির ও টোফু যেমন ধরনের খাবারই হোক না কেন, উভয় খাবারই পুষ্টুগুণে ভরপুর। তাই যখনই স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ আসে, ওজন কমানোর কথা ভাবেন, পনির না টোফু এই বিষয়ে দ্বন্ধ শুরু হয়। দুটো খাদ্য পণ্য তৈরির পদ্ধতি কিছুটা একই ধরনের। কিন্তু ক্যালোরির দিক দিয়ে পনির ও টোফু পুরোপুরি আলাদা। তাই স্বাস্থ্যের জন্য এবং ওজন কমানোর জন্য কোনটা খাবেন সেটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্ত তৈরি হয়। তবে এটা বোঝার আগে এই দুই খাবারকে আলাদা আলাদা করে বুঝতে হবে।
পনিরকে কটেজ চিজও বলা হয়। যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় তাই পনির প্রোটিনে ভরপুর। কখনও কখনও এটাকে আরও নরম করার জন্য ক্রিম দেওয়া হয়। সেই ক্ষেত্রে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করে না। আর আপনি যদি সুস্বাদু কোনও খাবারের খোঁজে থাকেন, তাহলে টোফুর বদলে পনির বেছে নিতে পারেন। পনির টোফুর চেয়ে খেতে অনেকটাই ভাল।
অন্যদিকে, টোফু সোয়াবিন মিল্ক দিয়ে তৈরি করা হয়, যা লো-ফ্যাটে পরিণত হয়। ভেগান বিভাগে আপনি সহজেই টোফু খেতে পারেন। আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে চান তাহলে টোফু হল সেরা। পনির এবং টোফুতে উপস্থিত ক্যালরিগুলির মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। ১০০ গ্রাম পনিরে ৩২১ ক্যালোরি রয়েছে, যেখানে টোফুতে মাত্র ১৪৪ ক্যালোরি রয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট যে পনিরে বেশি ক্যালোরি রয়েছে।
কম পরিমাণ ক্যালোরির পাশাপাশি, টোফুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন রয়েছে। এটি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের জন্যও উপকারী কারণ এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সহায়তা করে। টোফু আইসোফ্লাভোনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পরিচিত। গবেষণা অনুসারে, আইসোফ্লাভোন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অস্টিওপোরোসিস, হৃদরোগ এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম করে।
পনির ভিটামিন-ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা মহিলাদের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে মেনোপজের সময়। অন্যদিকে, টোফু সয়া প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা যাঁরা কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন বা ডায়ালাইসিস করেছেন তাদের টোফু খাওয়ার পরামর্শ দেন।