কথায় বলে, কাঁচা শিশুরা মাটির দলার মতো। ছোটবেলায় তাদের যে আকার দেওয়া হয়, তারা সেরকম ভাবেই বড় হয়। কিছু না জেনে বা না বুঝেই তাদের চারপাশ থেকে অভ্যাস এবং আচরণ রপ্ত করে। অনেক সময় শিশুরা যা দেখে এবং শোনে তা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। এটা একদিকে যেমন ভাল, তেমন খারাপও হতে পারে। সেক্ষেত্রে, বাবা- মায়েদের তাদের সন্তানের প্রতিটি ছোট বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান যদি ভুল কিছু শিখে থাকে, তাহলে তাকে সেই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করুন। এমন কিছু বদঅভ্যাস রয়েছে, যেগুলি শিশুরা খুব দ্রুত শিখে যায়।
নিজের ভুল স্বীকার না করা- অনেক সময় শিশুরা লজ্জায় বা শাস্তির ভয়ে ভুল স্বীকার করে না। নিজের করা ভুল স্বীকার না করলে, মিথ্যা বলার প্রবণতার মতো অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাড়িতে এমন একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন যাতে, শিশু কোনও ভয় ছাড়াই তার ভুল স্বীকার করতে পারে।
দেরি করা- দেরি করা এমন একটি অভ্যাস, যা শিশুরা খুব দ্রুত শিখে যায়। বিশেষ করে যখন তারা অনুপ্রাণিত বা খুশি বোধ করে না তখন বিভিন্ন কাজে দেরি করে। হোমওয়ার্ক হোক বা বাড়ির কোনও কাজ দেরি করলে বা পড়ে করার জন্যে ফেলে রাখলে, এই বদঅভ্যাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।
অন্যের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া- এমন বহু মানুষ আছে যারা আত্মকেন্দ্রিক। তারা নিজেদের ছাড়া সকলের দোষ খুঁজে পায় এবং শুধুমাত্র নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্কেগি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। এটি একটি খারাপ অভ্যাস যা শিশুরা খুব দ্রুত শিখে যায়। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আপনার সন্তানকে শৈশব থেকেই একজন ভাল শ্রোতা হিসেবে গড়ে তুলুন এবং তাকে অন্যের সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দিতে শেখান।
গসিপিং- শিশুরা তাদের নিজের পরিবারের সঙ্গে গসিপ করার অভ্যাস গড়ে তোলে। একজনের কথা অন্যজনকে গিয়ে বলে দেওয়ার অভ্যাস এভাবেই তৈরি হয়। যদি আপনার আশেপাশে কোনও শিশু থাকে, তাহলে বিশেষ খেয়াল রাখুন আপনি কার সঙ্গে এবং কার সামনে কথা বলছেন।
খারাপ স্বাস্থ্যবিধি- পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা শিশুদের শুরু থেকেই শেখান উচিত। তাহলে ধীরে ধীরে তারা এর গুরুত্ব বুঝবে। ছোট ছোট জিনিস যেমন খাওয়ার আগে হাত ধোওয়া, দাঁত ব্রাশ করা, কিছু খাওয়ার পরে হাত- মুখ ধোওয়া, বাইরে থেকে এসে বা ঘুমানোর আগে হাত- পা- মুখ ধোওয়া, পরিষ্কার জামা- কাপড় পরা ইত্যাদি অভ্যাস তাদের রপ্ত করান।