আমরা যাই করি, তা ত্বককে প্রভাবিত করে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস- যেমন ভুল ডায়েট, সঠিক ত্বকের যত্নের অভাব, ঘুমের অভাব, ভুল বা অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার, অতিরিক্ত মদ্যপান সহ আরও অনেক কারণে মুখে ব্রণ- ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অনেকেরই অজানা আরও বেশ একটি কারণে ব্রণ হয়। জানুন আর কী কী কারণে ব্রণ হতে পারে এবং কীভাবে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
ভাল করে মেকআপ না তোলা
আপনি হয়তো অত্যন্ত ক্লান্ত, তাই মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করেন না বহুদিন। কিন্তু বিছানায় যাওয়ার আগে সমস্ত মেকআপ ভাল করে তোলা প্রয়োজন। সারারাত মেকআপ রাখলে লোমকূপ আটকে যায় এবং ব্রণ হয়। এছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য মেকআপ রেখে ঘুমালে, ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। ভাল করে মেকআপ তুলতে, একটি ভাল মেকআপ রিমুভার বা মিসেলার হোয়াটার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যদি নিয়মিত ভারী মেকআপ ব্যবহার করেন, তাহলে ডবল ক্লিনজিং করুন।
রাতে সঠিক স্কিনকেয়ার
রাতে শুতে যাওয়ার আগে সঠিকভাবে মুখ ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সারা দিন ত্বকে প্রচুর ময়লা এবং ধুলো জমে থাকে। এছাড়াও সানস্ক্রিন, সেরামের মতো স্কিনকেয়ার পণ্যগুলি অবশিষ্টাংশ ছিদ্রগুলি আটকে দিতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে ভাল ভাবে মুখ না পরিষ্কার করলে। মেকআপ ব্যবহার না করলেও, ব্রণমুক্ত ত্বকের জন্য স্কিনকেয়ার রুটিনে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং অন্তর্ভুক্ত করুন।
নোংরা বালিশের কভার ব্যবহার করা
বালিশের কভার হল ব্যাকটেরিয়া এবং সব ধরনের ময়লা ও নোংরা পদার্থের প্রজনন ক্ষেত্র। এই সব নোংরা কণা আমাদের ত্বকে স্থানান্তরিত হয়, যখন এই অপরিষ্কার বালিশের কভারে ঘুমাই। ব্রণ প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার বালিশের কভারে ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সপ্তাহে বালিশের কভার পরিবর্তন করুন। সেই সঙ্গে ত্বকের ঘর্ষণ এড়াতে, খসখসে বালিশের কভার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
অপরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করা
ক্লিনজার, মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করেও, আপনি যদি নোংরা তোয়ালে ব্যবহার করেন, তাহলেও ব্রণ হতে পারে। মুখ মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন। কারণ তোয়ালেতে প্রচুর ময়লা জমা থাকে এবং যা মুখে ব্যবহার করলে, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং ব্রণ হয়। এছাড়াও তোয়ালে দিয়ে মোছার সময় জোড়ে মুখ ঘষবেন না। নয়তো এর কারণেও ব্রণ হতে পারে।
চুলে অতিরিক্ত তেল
আপনি যদি তৈলাক্ত মাথার ত্বক নিয়ে ঘুমান, তবে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে রাতে চুলে তেল ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। কখনও কখনও মাথার ত্বক থেকে তেল বেরিয়ে আসে এবং অতিরিক্ত সিবামের ফলে ব্রণ হয়। আপনি যদি তেল দিয়ে আপনার চুলকে পুষ্ট করার পরিকল্পনা করেন, তবে এটি ২-৩ ঘণ্টা রাখুন এবং এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো
ব্রণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ঘুমের ধরণ গুরুত্বপূর্ণ। পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমালে, মুখ সরাসরি নোংরা বালিশের কভার এবং বিছানার চাদরে স্পর্শ করে। সারা রাত এভাবে ঘুমানো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ ত্বক এবং কাপড়ের মধ্যে ক্রমাগত ঘর্ষণ লাগে। আপনি যদি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান, তবে ঘুমানোর পদ্ধতিটি পরিবর্তন করুন।