Pimples Problem Solution : মুখে ব্রণর দাগ এবং জেদি পিম্পল দেখা দিলে তা সহজে মিটতে চায় না। সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি আপনার আত্মবিশ্বাস কমাতেও কাজ করে। ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে সাধারণত অনেকেই ব্রণের সমস্যাতে ভোগেন। মুখে ব্রণ বের হলে সাদা, কালো এবং লাল দাগ হিসেবে দেখা দেয়। নিয়মিত ব্রণের সমস্যা জেরবার অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। কিন্তু তার পরেও এই সমস্যা থেকেই যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না আপনার ঘরেতেই রয়েছে ব্রণর সমস্যা সমাধানের উপায়। ঘরোয়া টোটকাতেই মিলতে পারে রেহাই।
ব্রণ বের হয় কেন?
লোমকূপের ছিদ্রে তেল এবং ডেডস্কিন জমা হলে মুখে ব্রণ বের হতে শুরু করে। আসলে, যখন চর্বি গ্রন্থি (সেবেসিয়াস গ্রন্থি) থেকে নির্গত নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন এই নিঃসরণ লোমকূপের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে ত্বককে অ্যালিফ্যাটিক রাখতে। এই নিঃসরণ বন্ধ হয়ে গেলে, এটি ত্বকের নিচেশক্ত হয়ে গেলে ব্রণের রূপ নেয়। একে ইংরেজিতে বলা হয় 'Acne Vulgaris'।
বেকিং সোডা-
ব্রণের সমস্যা দূর করতে প্রথমে জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগালে সহজেই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুকাতে দিন। ভালো করে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ভিটামিন ই-
ব্রণের গভীর দাগ সারাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এ জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে ব্রণের দাগের ওপর লাগান। আপনি দিনে একবার এটি ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে অনেক সহজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এটি করলে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।
লেবুর রস-
লেবুর মতো সাইট্রাস ফলের মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সাইট্রিক অ্যাসিড জ্বালা কমাতে, দাগ দূর করতে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। লেবুর রস মেলানিন উৎপাদনে বাধা দিয়ে ত্বকের রং উন্নত করতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল-
অ্যালোভেরা জেল দাগ দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রাতে এই জেলটি লাগিয়ে ঘুমিয়ে নিন এবং সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল সকালেই দেখতে পারবেন।
তুলসী পাতা-
এক চামচ তুলসী পাতার গুড়ো, এক চা চামচ নিম পাতার গুড়ো এবং এক চা চামচ হলুদের গুড়ো মিশিয়ে নিন। সঙ্গে একটু মুলতানি মাটির গুড়ো দিন। যখনই ব্যবহার করবেন, একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং সপ্তাহে দুবার মুখে লাগান। মুখ নরম ও পরিষ্কার হবে।