ইলিশ, রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, পারশে, মৌরলা ইত্যাধি ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল - সন্ধ্যে। চিংড়ি মাছও অনেকের পছন্দের তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকে। তবে চিংড়িকে অনেকে মাছ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, এটি মাছের পোকা।
কচুশাক দিয়ে চিংড়ি, ডাব চিংড়ি, চিংড়ির মালাইকারি, লাউ চিংড়ি, প্রণ পোলাও, চিংড়ির চপ, কাটলেট ইত্যাদি রকমারি স্বুসাদু পদের নাম শুনলেই জিভে জল আসার উপক্রম। এই মাছের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। ক্যালোরি, প্রোটিন, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নিয়াসিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১২, আয়োডিনের মতো পুষ্টিগুণে সম্পন্ন চিংড়ি মাস। তবে প্রিয় হলেও, অনেকের অজানা চিংড়ি খেলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিও।
চিংড়ি চটজলদি রান্না করা গেলেও, এই মাছ পরিষ্কার করটা বড় ঝক্কি। অনেকর ঝামেলা এড়াতে মাছ বিক্রেতার থেকেই পরিষ্কার করিয়ে আনেন। আবার অনেকে জানেন না, কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়। না জেনে অনেকে চিংড়ির কালো শিরা ফেলেন না, আর সেখানেই হয় বিপত্তি। আসলে চিংড়ির মাছের খলসের নীচে, এই কালো শিরায় শরীরের নানা বর্জ্য জমা থাকে। যা, ভাল করে পরিষ্কার করে না খেলে, ভয়ানক অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে শরীরের অন্যান্য ক্ষতি।
কী কী ক্ষতি হতে পারে?
চিকিৎসকদের মতে, এই শিরা সহ চিংড়ি খেলে পেটের গণ্ডগোল বা বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া শরীরের প্রদাহ, শ্বাসনালীর পেশি সংকোচন, রক্তনালি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কেও রক্তে পৌঁছানোর পরিমাণ কমতে থাকে এবং হদযন্ত্রে রক্ত পৌঁছায় না। গলা ধরে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চিংড়িতে রয়েছে আর্জিনিন কাইনেজ, ট্রোপোমায়সিনের মতো বেশ কয়েকটি অ্যালার্জির যৌগ থাকে। এর ফলে এটি খেলে, কিছু মানুষের ত্বকের প্রদাহ, চোখের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন যদি আপনার চিংড়িতে অ্যালার্জি না থাকে, সেক্ষেত্রে সমস্যা কম হতে পারে। তবে মাছ পরিষ্কার করার সময়ই এই শিরা বাদ দেওয়া সবচেয়ে ভাল। এছাড়া কোনও কিছুই অনেক বেশি বা কম খাওয়া ভাল না। তাই আপনার জন্য চিংড়ি কতটা ঠিক, তা জানতে পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।