জলই জীবন!আমরা সবাই জানি যে জল শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর সুস্থ থাকে। তবে অনেকে জল খাওয়ার কথা উঠলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। কম খাওয়াও যেমন অনুচিত, তেমন অতিরিক্ত জল শরীরে গেলে কিডনি খারাপ হতে পারে। আবার জল কম খেলে জলশূন্যতা তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশনে শরীর খারাপ হতে পারে। কখনও ভেবে দেখেছেন যে জল কতটা কোন সময় কীভাবে খেলে শরীরের জন্য উপকারী? জানলে অবাক হয়ে যাবেন, টানা ২১ দিন নির্দিষ্টভাবে জল খেলে লাভবান হবেন। দূর হবে শরীরের যাবতীয় সমস্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন পদ্ধতিতে জল খাবেন-
জলপান করার সঠিক উপায়, সঠিক সময় এবং পদ্ধতি জেনে নিন (Right Way To Drink Water, Right Time and Right Pattern)
একবারে বেশি করে জল খেয়ে নেবেন না। শরীরে জলের পরিমাণ একেবারে বাড়িয়ে দেবেন না। ২ লিটারের জায়গায় হঠাৎ করে ৫-৭ লিটার জল খেয়ে নিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্ষতি হতে পারে কিডনির। বিশেষজ্ঞদের মতে,পুরুষরা দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার এবং মহিলাদের ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করতে হবে। আপনি যদি ওয়ার্কআউট করেন তবে আরও আধ লিটার বেশি জল খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞ বলেছেন,এভাবে ২১ দিন জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য,গ্যাস ও বদহজম থেকে মুক্তি পাবেন।
কোন সময় জল খাবেন?
জল খাওয়ার সময় খেয়াল রাখা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। আপনি হয়তো শুনেছেন যে খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে এবং ১ ঘন্টা পরে জল পান করা উচিত নয়, কিন্তু কেন? আসলে খাবার খাওয়ার আগে পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক শুরু হয়, যা হজমের রস তৈরি করে। খাবার খাওয়ার আগে বা পরে জল পান করলে এই আগুন শান্ত হয়। হজমের রসে প্রভাব ফেলে। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। পাকস্থলীতে পড়ে থাকা খাবার পচতে শুরু করে। যে কারণে গ্যাস, বদহজম, পেটফোলা এবং পেটের গোলমাল সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়।
কোন তাপমাত্রায় জলপান করা উচিত?
গরমে ঠান্ডা জল বা শীতকালে গরম জল পান করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত গরম এবং ঠান্ডা জল উভয়ই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, গরমে হালকা ঠান্ডা জল এবং শীতকালে ইষদুষ্ণ জল পান করতে পারেন।
দাঁড়িয়ে জল পান করা কি ঠিক?
দাঁড়িয়ে জল খেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে বদহজমও হতে পারে। দাঁড়িয়ে জল খেলে তা খাদ্যনালী দিয়ে চলে যায়। পৌঁছয় পেটের নীচের অংশে। যে কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। শুধু তাই নয়,দাঁড়িয়ে জল পান করলে শরীরের খাদ্যের মাত্রাও বেড়ে যায়। এতে অক্সিজেনের মাত্রা ব্যাহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতাও।