'ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন'-এর মতে, বিশ্বে বেশির ভাগ মৃত্যুই হয় বেশি নুন (Salt) খাওয়ার কারণে। 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' প্রথমবারের মতো একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে খাবারে নুনের প্রয়োজন কতটা? যেটিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বেশি সোডিয়াম মানে নুন খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে।
খাবারে বেশি নুন এসব রোগের কারণ
সোডিয়াম শরীরের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে তা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদিও টেবিল নুন সোডিয়াম ক্লোরাইড-র প্রধান উৎস। এর পাশাপাশি এই পুষ্টি উপাদান সোডিয়াম গ্লুটামেট অন্যান্য মশলায়ও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Poppy Seeds Benefits: পোস্ত আসলে 'অলৌকিক' খাদ্য, কেন জানেন? রইল
সারা বিশ্বে অত্যধিক নুন খাওয়ার কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে
ডব্লিউএইচও-র রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মানুষের খাদ্যে নুনের ব্যবহার কমানোর জন্য নীতিগুলি বাস্তবায়ন করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যার কারণে পৃথিবীর ৭০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তবে ব্রাজিল, চিলি, চেক প্রজাতন্ত্র, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, সৌদি আরব, স্পেন এবং উরুগুয়ে - মাত্র নয়টি দেশ ইতিমধ্য়েই নীতি প্রকাশ করেছে। নুন কম খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম করা হয়েছে। তবে এসব দেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশেও এ ধরনের নিয়ম প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে।
মানুষ দ্বিগুণেরও বেশি নুন খায়
সারা বিশ্বে গড় নুন খাওয়ার পরিমাণ প্রতিদিন ১০.৮ গ্রাম। এটি প্রতিদিন ৫ গ্রাম অর্থাৎ এক চামচ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে আমরা যেভাবে নুন ব্যবহার করছি তা 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার' মতে দ্বিগুণেরও বেশি। আর এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, মারাত্মক রোগও হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও রোগের একটি প্রধান কারণ। এছাড়া খাবারে সোডিয়াম বেশি খাওয়ার কারণে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও বেড়েছে। এর ফলে সৃষ্ট রোগটি বড় যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র মতে, মানুষ খাবারে নুন কম খেলে, আমরা অকাল মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাই খাদ্যতালিকায় কতটা নুন খাওয়া উচিত সে বিষয়ে আমাদের কঠোর নিয়ম তৈরি করতে হবে।