ভালোবাসার আগে বন্ধুত্ব খুবই প্রয়োজনীয় একটা পদক্ষেপ। এটা দিয়েই সম্পর্কের সূচনা হয়ে থাকে। ভালোবাসার সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই ভালোবাসার যদি কোনও নামই না থাকে? মানে আপনাকে তিনি তাঁর বন্ধুও মনে করেন না, আবার প্রেমিকা বলে ডাকতেও নারাজ! কারও সামনে প্রেমিকার পরিচয় দিতে চান না। কিন্তু আপনারই হাত ধরে ঘোরেন, আপনাকেই ‘রোম্যান্টিক মেসেজ’ পাঠান। কিন্তু সম্পর্কটিকে নাম দিতে হবে শুনলেই উধাও আপনার প্রেমিক! এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে সময় থাকতে থাকতে সাবধান হন। না হলে কিন্তু কষ্ট পেতে হবে আগামী দিনে।
সিচুয়েশনশিপ কী
নতুন প্রজন্মের কাছে এখন দারুণ ট্রেন্ডি এই সিচুয়েশনশিপ কথাটি। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টা বুঝে উঠতে পারেন না। অথবা যখন বোঝেন তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তখন বাড়ে মানসিক যন্ত্রণা। বন্ধুত্বর থেকেও বেশি গাঢ়, কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক নয়! অথচ, প্রেমের সম্পর্কের যাবতীয় চাহিদাই সঙ্গীর থেকে মেটাতে চান অপরজন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গে এলেই আর তাঁর টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাকেই বলা হয় সিচুয়েশনশিপ। আপনি যদি এই ধরনের সম্পর্কে থাকেন তবে বুঝুন এই লক্ষণ দেখে।
এই সম্পর্ক অর্থহীন
সঙ্গীর থেকে স্বীকৃতির প্রত্যাশা করেন প্রত্যেকেই। এটা অস্বাভাবিক নয়। তাই সম্পর্কে একটা নাম দেওয়ার দাবী আপনি জানাতেই পারেন। কিন্তু আপনার প্রেমীক যদি এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে নানারকম দার্শনিক তত্ত্ব শোনান, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন যে, এই সম্পর্ককে কোনওরকম নাম দিতে তিনি চান না। আপনি তাঁর বন্ধু নন ঠিকই, কিন্তু এই সম্পর্ককে তিনি প্রেম বলেও মনে করেন না। তবে সাবধান হয়ে যান। সুযোগ থাকলে এখনই এমন ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালান।
তাঁর পরিচিত মহলে কি কেউ আপনাকে চেনেন?
নিজের সঙ্গীর সঙ্গে পরিবারের আলাপ করাতে সময় নেন অনেকেই। কিন্তু বন্ধুদের মধ্য়ে তাঁকে নিয়ে তো আলোচনা চলতেই পারে। আপনার সঙ্গী যদি তাঁর পরিচিত মহলে এই নিয়ে কোনও কথাই না বলেন, তাহলে এক পা পিছিয়ে যান। বিশেষ করে আপনাকে যদি তাঁর পরিবার বা বন্ধুদের মধ্য়ে কেউ না চেনেন, কোনওরকম অনুষ্ঠানে আপনি অংশ নিতে চাইলে আপনার প্রেমিক যদি নিষেধ করেন, তাহলে সময় এসেছে সম্পর্ক ছেদ করার। কারণ কতদিন এটা মেনে নেবেন বলুন তো? এবার তো একটা বড় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
আপনি সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকেন?
সুস্থ প্রেমের সম্পর্ক আমাদের জীবনসংগ্রামে মেরুদণ্ডের মতো হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে মনের জোর হয়ে ওঠে। এমন সম্পর্ক কখনও আপনার মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। তাই সম্পর্কে থাকলেও আপনি যদি ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। সঙ্গী হয় অ্য়াংজাইটি, তাহলেএই ধরনের পরিস্থিতি আপনার জন্যে সুখকর নয়, তাই একটু সাবধান হওয়াই কাম্য।
সুতরাং এই ধরনের সিচুয়েশনশিপ থেকে যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসা যায়, ততই ভালো।