লকডাউনের কল্যাণে অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই ঠিকই কিন্তু তাই বলে বাড়িতে কাজের চাপ তা তো নয়। উল্টে বাড়ি ও অফিস সামলাতে সামলাতে নাজেহাল দশা। তার উপরে সদ্য পুজো গেল। এ সবের মাঝে নিজের জন্য সময়ই পাওয়া যায় না তার আবার ত্বকের যত্ন। কিন্তু দিনের শেষে তরতাজা ত্বক পেতে কে না চায় বলুন। তাই বিশেষ পরিচর্যার জন্য সময় তো বার করতেই হবে। বেশিক্ষণ নয় হাতে পাঁচ মিনিট থাকলেই কেল্লা ফতে।
* সবথেকে বেশি জরুরি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া এবং পরিমাণ মতো ঘুম। সময়োপযোগী ফলও ত্বকের জন্য খুব ভাল।
* প্রথমেই খুব ভাল করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। পরে নর্মাল স্কিন হলে বা তেলতেলে ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফোম বা জেল-বেসড ক্লেনজ়ার দিয়ে প্রথমে দু’বার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে বাড়তি জলটা মুছে নিন।
* দ্বিতীয় ধাপে তুলোয় করে পিউরিফায়িং টোনার নিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। অ্যালকোহল বেসড টোনার হলে ভাল। এতে ময়লা সম্পূর্ণ উঠে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। চলে যাবে ডেড স্কিনও। মুখ পরিষ্কার করার পর ভিটামিন ই যুক্ত হাইড্রেটিং টোনারও ব্যবহার করতে পারেন।
* শেষ ধাপে সারা মুখে অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়শ্চার লাগানো অত্যন্ত জরুরি। চোখের চারপাশে আইক্রিম লাগিয়ে রাখলে ভাল।
* শুকনো, আর্দ্রতাহীন ত্বক পরিষ্কার করতে ক্রিমযুক্ত ভারী ক্লেনজ়ার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। তাতে ত্বক ঘুমের সময় প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাবে।
* শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা দ্রুত পড়ে, তাই অ্যান্টি-এজিং সিরাম লাগানোটা মাস্ট! তাতে ত্বকে নতুন কোষ জন্মাবে। সেটা অবশ্য বয়স তিরিশের কোঠা পেরনোর পর।
*একদম শেষ ধাপে, সিরাম পুরোপুরি ত্বকে শুষে যাওয়ার আগেই ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। ত্বক সারা রাত সতেজ আর আর্দ্র থাকবে। সকালে উঠে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে।