scorecardresearch
 

Smoking Reduces Stress Or Not: অফিসে ঘন ঘন 'সিগারেট বিরতি' কি সত্যিই মানসিক চাপ কমায়? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন,জানুন

Smoking: অফিসে ঢোকার সময়,  লাঞ্চ ব্রেকে, মিটিংয়ের পরে বা বসের সঙ্গে ঝগড়ার পরে বহু চাকরিজীবীরা বারবার বিরতি নেয়। ধূমপান কি সত্যিই মানসিক চাপ কমায়? নাকি এটা শুধুই ভুল ধারণা? 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তারা বলেন, স্ট্রেস কাটানোর জন্যে এই নেশা করেন তারা। অনেকে বিশ্বাস করে যে, সিগারেট একটি স্ট্রেস রিলিভার। অফিসে ঢোকার সময়,  লাঞ্চ ব্রেকে, মিটিংয়ের পরে বা বসের সঙ্গে ঝগড়ার পরে বহু চাকরিজীবীরা বারবার বিরতি নেয়। ধূমপান কি সত্যিই মানসিক চাপ কমায়? নাকি এটা শুধুই ভুল ধারণা? 

স্ট্রেস নিকোটিনের সঙ্গে সম্পর্কিত

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, যারা ধূমপান করেন না তাদের সাধারণত ধূমপায়ীদের তুলনায় মানসিক চাপ কম থাকে। তবে, অনেকে মনে করেন যে, সিগারেট খেলেই স্বস্তি বোধ করবে। এর কারণ হল, শরীরে নিকোটিনের মাত্রা সিগারেট খাওয়ার পর শরীরের স্তরে ফিরে আসে। ধূমপানের সময় মনে হয়, ডোপামিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি সিগারেট প্রয়োজন। ধূমপানের সময় মনে হতে পারে, এটি আপনাকে শিথিল করতে সাহায্য করছে। কিন্তু বাস্তবে, এটি আপনার শরীরের উপর শারীরিক চাপ বাড়াচ্ছে।

ধূমপানে মানসিক চাপ কম হয় না, ত্যাগ করলে কমে 

ধূমপান ত্যাগ করার ৩ মাস পরে, ডোপামিন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ধূমপান ত্যাগ করলে মানসিক চাপ কমতে পারে। নিকোটিনের আসক্তি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং ধূমপানের সময় মেজাজ স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু সিগারেটের অভাবে মেজাজ খারাপ হয়। সিগারেটের চাপ-হ্রাসকারী প্রভাব শুধুমাত্র নিকোটিনের অভাবের কারণে সৃষ্ট স্ট্রেস এবং বিরক্তি বাড়ায়।

আসক্তি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনিল শেখাওয়াত বলেন যে, সাধারণত অফিসের পরিবেশের বাইরে গিয়ে, মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটি করলে নতুন শক্তি অনুভব হয়। কিন্তু নিকোটিনে আসক্ত ব্যক্তিরা মনে করেন যে, সিগারেটেই সতেজতা মিলবে। যদিও নিকোটিন গ্রহণের ফলে কিছু সময়ের জন্য এই ধরনের অনুভূতি হয়। কিন্তু আসলে এই আসক্তি থেকে বহুগুণ বেশি শারীরিক ক্ষতি করে।

Advertisement

 

TAGS:
Advertisement