শরীরের কাজ করার জন্য অনেক শক্তি প্রয়োজন, যা আমরা খাদ্য থেকে পাই। মস্তিষ্কের কাজ করার জন্যও শক্তি প্রয়োজন। অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মতো, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মস্তিষ্ক শরীরের বিভিন্ন অংশে সংকেত পাঠায়, তবেই তারা প্রতিক্রিয়া দেখায়। শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য একটি সুস্থ মন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আমাদের মনকে সুস্থ না রাখি, তবে এটি সরাসরি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, মস্তিষ্কের ভাল ভাবে কাজ করার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন। তবে এর অর্থ এই নয় যে, প্রতিদিন যে জিনিসগুলি খাচ্ছেন তা আপনার শরীরের পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্কের জন্য যথেষ্ট। আপনার যদি এই সমস্যাগুলির মধ্যে কোন একটি থাকে, তবে এর অর্থ হল আপনার মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করছে না। রোজকার ডায়েটে এমন কিছু উপাদান থাকা প্রয়োজন যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এই জিনিসগুলি নিয়মিত খেলে, শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
* আপেল
আপেলে ফ্ল্যাভানয়েড পাওয়া যায়। যেটি একটি ভাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। আপেল, মস্তিষ্ককে অনেক রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক। এছাড়া আপেলে পাওয়া অন্যান্য উপাদানও স্নায়ু কোষকে রক্ষা করতে সহায়ক।
* হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর পাশাপাশি এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়। মস্তিষ্কের আঘাত দ্রুত নিরাময়ের জন্য হলুদ ব্যবহার করা হয়।
* সালমন
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সালমনের মতো মাছে পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্ক সচল ও সুস্থ রাখে। ডায়েটে ওমেগা ৩ থাকলে, ডিমেনশিয়া এবং অ্যালজাইমার্সের ঝুঁকিও কমে যায়।
* গ্রীন টি
গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতেও এটি সহায়ক। গ্রিন টি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কার্যকর।
* টমেটো
টমেটোতে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে ফ্রি-র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি এটি অ্যালজাইমার্স থেকে নিরাপদ রাখতেও সহায়ক।