শিরায় ব্লকেজে থেকে হয় হার্ট অ্যাটাক। হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত না চলাচল করতে পারে না। সাম্প্রতিকাকালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে মানুষ খাদ্যাভ্যাস বদলে গিয়েছে। খাওয়াদাওয়ার সময় ঠিক নেই। তেল-মশলাদার খাবার খেয়ে বারোটা বাজছে শরীরের। সেই সঙ্গে অলস জীবনযাপন। ফলে ধীরে ধীরে একাধিক অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে। চারটি কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছে। নীরবে হামলা চালাচ্ছে হার্ট অ্যাটাক।
স্থূলতা- ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে এমন অনেক রোগ দেখা দেয় যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। কোমরের আকার বাড়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। আসলে,স্থূলতা ধমনীতে চর্বি বাড়ায়। আর হৃদপিণ্ডে রক্ত বহনকারী শিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ব্লক হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, তেল-মশলার খাবার, ফাস্ট ফুড, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম ও শরীরচর্চার অভাবে মানুষের ওজন বাড়ছে। তাই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে ওজন আয়ত্তে রাখা দরকার।
কোলেস্টেরল- কোলেস্টেরল বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক লক্ষণ। বেশিরভাগ মানুষই ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরলের কারণে উদ্বিগ্ন। ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরলের কারণে, রক্তের শিরাগুলি ব্লক হতে পারে। যে কারণে রক্ত প্রবাহ বন্ধ বা ধীর হয়ে যেতে পারে। তখনই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম এবং ব্যায়ামের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কোলেস্টেরল।
ডায়াবেটিস- ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে আরও অনেক ধরনের রোগও হতে শুরু করে। এ কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে বা কমতে থাকে, তাহলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস নানা রোগের কারণ হয়ে ওঠে।
উচ্চ রক্তচাপ- বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে,হাই বিপির কারণে শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। যে কারণে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। রক্ত প্রবাহ বাড়তে থাকে। হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়। ফলে হার্টের ওপর চাপ পড়ে। অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে।
কোন অংশে ব্যথা হয়?
বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে হার্ট অ্যাটাক হলেই বুকে ব্যথা হয়, কিন্তু তা নয়। যখন কারও হার্ট অ্যাটাক হয়, তখন হৃৎপিণ্ডে প্রবাহিত রক্ত বাধা পায়। তাই হাতে, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে ও পেটে ব্যথা হতে পারে।