প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের জীবনে কাজ, সম্পর্ক ও দায়িত্বের ভারে জর্জরিত। আর এইসব বিষয়গুলির কারণে কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের বিষয়ে ভাবার সুযোগ একেবারেই পান না। কেউ কেউ তো কাজ আর জীবনের একাধিক দায়িত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে তাঁদের কাছে নিজেদের জন্য একেবারেই সময় থাকে না। আর এই চাপের কারণে ধীরে ধীরে ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে অসুস্থ হওয়ার আগে নিজের মধ্যে যদি এই ধরনের সঙ্কেত দেখতে পান তাহলে কাজ ও দায়িত্ব থেকে কিছুদিন নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ব্রেকে ছলে যান। সময় দিন নিজেকে।
মনোযোগের অভাব
যদি আপনার কাজে মনোযোগ না বসে আর ফোকাস করতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে খুবই প্রয়োজন আপনি কিছু সময়ের জন্য ব্রেক নিয়ে নিন আর সেই কাজই করুন যেটা আপনার করতে সবচেয়ে ভালো লাগে। এতে আপনার মন-মেজাজ শান্ত থাকবে আর আপনি এরপর ফোকাস করতে পারবেন কাজে।
শরীরে এনার্জি না থাকা
আপনাকেও কি শরীরে এনার্জি আনার জন্য চা বা কফির ওপর নির্ভর করতে হয়। রোজের কাজ করতে গিয়ে অলস বোধ করেন আপনি। এরকম যদি দেখেন তাহলে বুঝবেন আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আপনার মাসিক স্থিতিও বেশ ক্লান্ত। আসলে আপনি রোজ-রোজ নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন আর এই অভ্যাস আপনাকে ভেতর থেকে ক্লান্ত করে দিয়েছে। তাই খুব দরকার এই ক্লান্তবোধকে শরীরে থাকতে দেবেন না, কাজ থেকে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে আপনি কোথাও থেকে ঘুরে আসুন।
ছোট ছোট কথায় রেগে যাচ্ছেন
ছোট ছোট কথাতেই রেগে যাচ্ছেন আপনি আর বিনা কারণে বিরক্তি বোধও করছেন। তাহলে এটাকে এড়িয়ে যাবেন না। কারণ আপনার ব্রেকের খুব দরকার। এইজন্য যেটা প্রয়োজন কিছু সময়ের জন্য কাজ ও লোকজনের থেকে দূরে চলে যান। নিজের সঙ্গে সময় কাটান। রাগকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যোগা সহ মেডিটেশন করতে পারেন।
আবেগপ্রবণ হওয়া
ইমোশনালি যখন কোনও ব্যক্তি ক্লান্ত হয়ে থাকেন তখন নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এইরকম অবস্থায় আপনাকে ছোট ছোট কথাও আবেগতাড়িত করে তুলতে পারে বা আপনি বিরক্ত হতে পারেন। এরকম পরিস্থিতিতে য়খন থাকবেন তখন না কেঁদে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার জন্য এটা বোঝা খুব জরুরি যে এই পরিস্থিতিতে শুধু আপনিই নন, আরও অনেকেই রয়েছেন।
মোটিভেশন না পাওয়া
শুরুর সময় ব্যক্তি তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার লক্ষ্যে আদাজল খেয়ে লেগে পড়ে আর সময় কখন বয়ে যায় বুঝতেও পারবেন না। কিন্তু এমন সময়ও আসে যে মানুষ সহজ থেকে সহজতর কাজও করতে পারেন না। কোনও কাজ করার জন্য মোটিভেট পান না। আর এটা না হওয়ার কারণে আপনার জন্য কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি যদি নিজের মধ্যে মোটিভেশন দেখেন কম তাহলে কিছুদিনের জন্য ব্রেক নেওয়া খুব দরকার। নতুনত্বের খোঁজে বেরিয়ে পড়ুন, নিজেকে সময় দিন।