Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো মানেই হল আনন্দ, আড্ডা আর ঠাকুর দেখা। কলকাতা ছাড়াও, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্রতি বছরই লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। আজকাল তো মহালয়া থেকেই অনেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। পুজোর চার-পাঁচ দিন ধরে প্রায় সারাদিনই অনেকে ঠাকুর দেখেন। তবে, একটানা দীর্ঘক্ষণ হাঁটার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাই ঠাকুর দেখার আনন্দ যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয়, তার জন্য কিছু এনার্জি ধরে রাখার টিপস জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।
দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে সারাদিন ধরে হাঁটা এবং ঘোরাঘুরির ব্যাপার থাকবে। তাই দিনের শুরুতেই পুষ্টিকর ও ভারী ব্রেকফাস্ট করুন। এতে আপনার শরীরের এনার্জি লেভেল ভাল থাকবে। ওটস, ডিম, ফল, দই বা বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে শরীরে প্রোটিন ও ফাইবার ঢুকবে। এটা আপনাকে দীর্ঘসময় ধরে এনার্জেটিক রাখবে।
পুজো ভুরিভোজের সময় হলেও, সকালেই লুচি বা অন্য় তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
পুজোর দিনে ঠাকুর দেখতে দেখতে অনেকেই জল পানের কথা ভুলে যান। কিন্তু পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়তে পারে। হাঁটাহাঁটি ও ভিড়ের কারণে গরমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তাই জলের বোতল সঙ্গে রাখুন এবং সময়মতো জল পান করুন। পারলে ওষুধের দোকান থেকে ORS কিনে নিন। এখন নানা ফ্লেভারে মিক্স করা ওআরএস পাওয়া যায়। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে আপনি আরও বেশি এনার্জি পাবেন।
অনেক সময় সারাদিন ঘোরাঘুরি করে ক্ষিদে পেয়ে যায়। তাই সঙ্গে কিছু হালকা স্ন্যাকস রাখুন, যেমন- বাদাম, চকলেট, এনার্জি বার ইত্যাদি। এগুলো তৎক্ষণাৎ এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি দূর করে।
দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে সারাদিন হেঁটে বেড়াতে হলে আরামদায়ক পোশাক ও জুতো পরা খুবই জরুরি। ফ্ল্যাট বা কুশন দেওয়া স্নিকার্স পরলে হাঁটতে সুবিধা হবে। তাই প্যান্ডেল হপিংয়ের দিন হিল জুতো পরবেন না। তাছাড়া, এমন পোশাক বেছে নিন, যাতে আপনি দীর্ঘক্ষণ থাকার পরেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে গিয়ে টানা সারাদিন হাঁটবেন না। মাঝে মাঝে একটু বিশ্রাম নিন। কোথাও ছায়ায় বসে ১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম নিন, জল পান করুন। এতে আপনার শরীর ক্লান্তি কাটিয়ে উঠবে।
সারাদিনের পরিশ্রমের পর রাতে ভারী খাবার না খাওয়াই ভাল। ভুরিভোজটা দুপুরেই করুন। তারপর হাঁটাহাঁটির জন্য এনার্জিও পাবেন, খাবার হজমও হয়ে যাবে। রাতে একটু হালকা খাওয়ার চেষ্টা করুন। পুজোয় একটু ভাল খাবেন না, তা তো হতে পারে না। কিন্তু খাবারের পরিমাণটা কমের দিকে রাখুন। বেশি খাওয়ার হলে, সেটা দুপুরেই খান। মনে রাখবেন, পরের দিন কিন্তু আবার বের হতে হবে।
শরীরের ক্লান্তি কাটাতে ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে বাড়ি ফিরে গা ধুয়ে নিন। এরপর শান্ত মনে ঘুমোতে যান।রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
হোল নাইটের প্ল্যান থাকলে, বাড়ি ফিরেই ফ্রেশ হয়ে, খেয়েদেয়ে ঘুমোতে চলে যান। এতে আপনার শরীর আবার রিফ্রেশ হবে এবং পরের দিন সারাদিন ঠাকুর দেখার এনার্জি পাবেন। দেখতেও ফ্রেশ লাগবে।
এইসব টিপস মেনে চললে দুর্গাপুজোর সারাদিন হেঁটে ঠাকুর দেখার পরও আপনি নিজেকে এনার্জেটিক রাখতে পারবেন।